ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

ফ্রাঙ্কফুর্টের টেক্সটাইল প্রদর্শনীতে যাচ্ছে ১৬ প্রতিষ্ঠান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩৬ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৯ শুক্রবার

বিশ্বব্যাপী উচ্চমূল্যের পোশাকের বাজারে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ। ফ্যাশন পণ্যের বাইরে অগ্নিনির্বাপকদের পোশাক, সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর ইউনিফর্ম, এমনকি মহাকাশচারীদের জন্য বিশেষায়িত পোশাকের বাজারে প্রবেশ করতে চান দেশের উদ্যোক্তারা। এ ছাড়া ক্রীড়া, চিকিৎসা, কৃষি এবং জিও টেক্সটাইলে বাজার বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এ ধরনের বিশেষায়িত পোশাকের ওপর টেকনিক্যাল টেক্সটাইল প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের ১৬ পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান। আগামী ১৪ মে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে চার দিনের এই প্রদর্শনী শুরু হবে।

সারা বিশ্বে টেক্সটাইল উৎপাদনের মধ্যে টেকনিক্যাল টেক্সটাইলের অংশ এখন ২৭ শতাংশের মতো। আগামী বছরের মধ্যে এ পরিমাণ দ্বিগুণ বেড়ে ১৭৫ বিলিয়ন ডলারের উন্নীত হবে- এমন আভাসই দিয়েছে প্রদর্শনীর আয়োজক জার্মানভিত্তিক ম্যাসে ফ্রাঙ্কফুর্ট। এই বাজার এখন চীন এবং জার্মানির দখলে। গত কয়েক বছর ধরে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা এ প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে আসছেন।

টেকনিক্যাল টেক্সটাইল হচ্ছে এমন কাপড় যা ফ্যাশনের জন্য ব্যবহার হয় না। এটি যেমন অগ্নিনির্বাপক বা নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করা হয়। সামরিক ও পুলিশ ইউনিফর্ম বা এমনকি মহাকাশচারীদের জন্য তৈরি করা বিশেষ কাপড়। বিশেষ মূল্য সংযোজন বা ভ্যালু এডিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে এই টেকনিক্যাল টেক্সটাইল। সারা বিশ্বের টেক্সটাইল উত্পাদনের মধ্যে টেকনিক্যাল টেক্সটাইল ২৭ শতাংশের মতো।

জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে অনুষ্ঠিতব্য ওই প্রদর্শনীতে ফ্যাশন সাইকেলে, স্থায়িত্বে এবং কেন এই শিল্প অতিরিক্ত খরচ এবং শ্রম বাদ দিয়ে ভোক্তাদের চাহিদার দিকেই মনোযোগ দেওয়া উচিত সেসব বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এবারের প্রদর্শনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হবে শহুরে জীবনযাত্রা বা আরবান লিভিং।

চার দিনের এই প্রদর্শনীতে টেকটেক্সটিল ফোরাম, বিভিন্ন টক শো, আলোচনা সভা এবং সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার নানারকমের বিন্যাসের মাধ্যমে তথ্য বিনিময়ের একটি নতুন কাঠামোর সূচনা হবে। যা সাহায্য করবে প্রযুক্তিগত টেক্সটাইলের সব আঙ্গিক থেকে প্রদর্শক এবং বাণিজ্য দর্শকদের। গবেষক, পণ্যের বিকাশে নিয়োজিত দল এবং ব্যবহারকারীদের জন্যও এটি নতুন দিক উন্মোচন করবে।

প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানসহ ১১৪টি দেশ থেকে প্রায় ৪৭ হাজার ৫০০ দর্শক এবং দুই হাজারের মতো প্রদর্শক অংশ নেবে। বাংলাদেশ থেকে অংশ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আছে মেট্রো নিটিং অ্যান্ড ডায়িং, এভিন্স গ্রুপ, জায়ান্ট গ্রুপ, রুটস সোর্সিং, নাসা গ্রুপ, ইসলাম গার্মেন্টস, কেন পার্ক বাংলাদেশ অ্যাপারেল, জিওভানা ডেনিম, স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ, এপিলিওন গ্রুপ, বেনেটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ।

আরকে//