নদী দখল ও দুষণ মুক্ত করার দাবিতে হাবিপ্রবিতে মানববন্ধন
হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১১:০৬ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৯ শুক্রবার
পরিবেশবাদী ছাত্র-যুব সংগঠন গ্রীন ভয়েস এর ১৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে "নদী দখল, দূষণ বন্ধ কর ও নদীর স্বাভাবিক গতি প্রবাহ নিশ্চিত করণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০ টায় দিনাজপুর জেলা শাখার ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নং গেইট সংলগ্ন দিনাজপুর -ঢাকা মহাসড়কের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। আধঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী, স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গসহ অর্ধশতাধিক লোক অংশ গ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে কৃষি অনুষদের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম ফাহিমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো.খালিদ ইমরান, কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আব্দুল মান্নান ও কৃষি অনুষদের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ নাজমুল হাসান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। অনাদিকাল থেকে নদীর পানির দ্বারাই আমাদের সবুজ-শ্যামল প্রকৃতি, কৃষি ও মানব জীবন সিঞ্চিত হচ্ছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় একাদশ শতাব্দীতে আমাদের নদীর সংখ্যা দেড় হাজারের মতো থাকলেও এখন তা ২৩০ এ নেমে আসছে। যার ১৭টি নদীই মৃত প্রায়। নদীর পাড়ে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা, কল-কারখানার বর্জ্য নিষকাশন, যত্রতত্র কেমিক্যালের ব্যবহারের কারণে নদীর স্বাভাবিক গতি প্রবাহ আজ ব্যহত হচ্ছে । ফলে আমাদের মাছে –ভাতে বাঙালির যে ইতিহাস যে ঐতিহ্য তা হারাতে বসেছি। আমাদের এখনই এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে, প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই যুবরাই লড়বে, সবুজ পৃথিবী গড়বে ‘স্লোগানের স্বার্থকতা বাস্তবায়িত হবে ।
সভাপতির বক্তব্যে, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ খালিদ ইমরান বলেন, " নদী দখল, দূষণ বন্ধ ও নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষে আমরা মাঠপর্যায় পর্যন্ত কাজ করবো, যাতে করে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে পারি। পরিবেশ ও নদী দূষণের যে কুফল রয়েছে সে সম্পর্কে মানুষকে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। "আমি মনে করি, প্রত্যকে নিজ নিজ জায়গা থেকে যদি আমরা সচেতন হই, তাহলে একদিন সুজলা-সুফলা সবুজ –শ্যামল পৃথিবী গড়ে ওঠবে।
উল্লেখ্যে যে, পরিবেশবাদী যুব সংগঠন “গ্রীণ ভয়েস” ২০০৫ সালের আজকের এই দিনে যাত্রা শুরু করে এবং দীর্ঘ দুই বছর শেষে ২০০৭ সালে এসে নিবন্ধিত হয় । এটি পরিবেশ দূষণের প্রতিবাদে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করেছে ।
এসি