ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

ব্যবসায়ীদের সন্তুষ্ট করতে মরিয়া মোদী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১৬ এএম, ২০ এপ্রিল ২০১৯ শনিবার

জিএসটি ও নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে গত আড়াই বছরে বারেবারেই প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানিয়েছে ব্যবসায়ী মহল। জোড়া ক্ষত এখনও শুকোয়নি বলেই অভিযোগ তাদের অনেকের। লোকসভা ভোটে তার আঁচ পড়ার আশঙ্কায় ভোট পর্বের মধ্যেই শুক্রবার ব্যবসায়ীদের মুখোমুখি হয়ে তাদের মন জয়ে কিছু ‘ভুল’ হওয়ার কথা মেনে নিলেন নরেন্দ্র মোদী।

সেই সঙ্গে দিলেন ঢালাও প্রতিশ্রুতি। দাবি করলেন, পাঁচ বছরে ব্যবসায়ীদের ভালই করতে চেয়েছেন। যা দেখে বিরোধী কংগ্রেসের দাবি, দু’দফা ভোটের পরেই মোদী বুঝেছেন, পায়ের তলার মাটি ক্রমশ সরছে। তাই বিজেপির এক সময়ের ভোটব্যাঙ্ক ব্যবসায়ীদের ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার এই মরিয়া চেষ্টা।

ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে কংগ্রেসকেও এ দিন বিঁধেছেন মোদী। তার অভিযোগ, ‘চোর’ বলে অপমান করা ছাড়া কংগ্রেস ব্যবসায়ীদের জন্য আর কিছুই করেনি। তার কথায়, ‘‘গোটা দেশ দেখেছে, ভাল ও খারাপ, সব সময়েই আমরা কী ভাবে আপনাদের পাশে থেকেছি।’’

নোট বাতিল ও জিএসটি-র ধাক্কায় ব্যবসা হারিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ ছিলেন ব্যবসায়ীরা। কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স-সহ দেশের নানা প্রান্তে ব্যবসায়ীদের ছোট-বড় সংগঠন এ নিয়ে মুখ খুলেছিল। মোদীর রাজ্যের সুরাতেই ধর্মঘট ডাকেন বস্ত্র ব্যবসায়ীরা।

তাদের ক্ষোভ ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলতে পারে আঁচ করেই এ দিন দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মোদী বৈঠকে বসেছিলেন বলে রাজনৈতিক মহলের বড় অংশের অভিমত।

বসায়ীরা তাদের জীবনে আঁধার নামার অভিযোগ তুললেও মোদীর দাবি, গত পাঁচ বছরে তিনি জীবন বরং সহজই করতে চেয়েছেন। দেড় হাজার প্রাচীন আইন তুলে দিয়ে সহজে ব্যবসার পথ গড়েছেন। ইনস্পেক্টর-রাজ প্রায় বন্ধ।

আয়কর দফতরের হস্তক্ষেপও আর নেই। ১৭টি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য কর মিশিয়ে জিএসটি চালু করায় স্বচ্ছতা এসেছে। দ্বিগুণ হয়েছে নথিভুক্ত ব্যবসায়ীর সংখ্যা। আর তাঁর সরকারের নানা সাফল্য বর্ণনা করে নিজেকে ‘মালিক’ নন, ‘সেবক’ আখ্যা দিয়েছেন নিজেই।

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার

এমএইচ/