ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

নুসরাত হত্যায় ব্যবহৃত বোরকা উদ্ধার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৫৯ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০৭:৫৯ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০১৯ শনিবার

ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি বোরকা উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। উদ্ধারকৃত বোরকা এ হত্যা মামলার অন্যতম আলামত বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই’র পরিদর্শক (ওসি) মো. শাহ আলম।

শনিবার দুপুরে মামালার এজহারভুক্ত গ্রেফতার আসামি যোবায়ের আহাম্মদকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পিবিআই তদন্ত টিম।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, নুসরাত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত যোবায়ের আহাম্মদকে নিয়ে পিবিআই চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবালের নেতৃত্বে একটি দল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সোনাগাজী সরকারি কলেজ সংলগ্ন ডাঙ্গি খাল থেকে একটি বোরকা উদ্ধার করা হয়।

এছাড়াও তাকে নিয়ে পিবিআই বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান পরিচালনা করে বলেও জানান তদন্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম।

যোবায়ের আহাম্মদ আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলার ৫ নম্বর আসামি। সে সোনাগাজী পৌরসভার তুলাতলি গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে।

নুসরাত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে এখন পর্যন্ত ৫ জন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এদের সবাই কিলিং মিশনে যোবায়ের আহাম্মদের সরাসরি অংশ নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ১৪ এপ্রিল রোববার রাতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে নুসরাত হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার অন্যতম আসামি নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামিম। ১৭ এপ্রিল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহমেদের আদালতে আবদুর রহিম ও শরীফ, ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় একই আদালতে হাফেজ আবদুল কাদের পরদিন ১৯ এপ্রিল অধ্যক্ষের ভাগ্নি উম্মে সুলতানা পপি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

আলোচিত এ মামলা এ পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও পিবিআই। এদের মধ্যে ওই অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলা, কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, সহপাঠি আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্যাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষের ভাগ্নি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, যোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, মো. শামীম, কামরুন নাহার মনি, জান্নাতুল আফরোজ মনি, আবদুর রহিম ওরফে শরিফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ওই মাদ্রাসার সহ-সভাপতি রুহুল আমিন।

এর আগে টানা পাঁচ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ১০ এপ্রিল বুধবার রাত ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি। পরদিন সকালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দিলে বিকেলে সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চর চান্দিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

আরকে//