ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

জিডিপিতে অবদান রাখছে পর্যটন: মাহবুব আলী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৫৬ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০৯:৪০ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০১৯ শনিবার

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, ডব্লিউটিটিসির ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৭ সালে বাংলাদেশের জিডিপিতে পর্যটন ও ভ্রমণ খাতের অবদান ছিল ৮৫০.৭ বিলিয়ন টাকা। এটা মোট জিডিপির ৪.৩ শতাংশ। ২০২৮ সাল নাগাদ তা বাংলাদেশের মোট জিডিপির ৬.৮ শতাংশে উন্নীত হবে। ২০১৭ সালে ২৪ লাখ ৩২ হাজার কর্ম তৈরিতে সরাসরি সহায়তা করেছে পর্যটন ও ভ্রমণ শিল্প। যা মোট কর্মসংস্থানের ৩.৮ শতাংশ। ২০২৮ সালের মধ্যে তা ৪.২ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে "বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম ফেয়ার ২০১৯" এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, পর্যটনের প্রসারে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। পর্যটন শিল্প বিকাশে গণমাধ্যম অন্যতম অনুষঙ্গ। দেশ এবং বিদেশে পর্যটনের প্রসারে গণমাধ্যম অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। পর্যটকেরা যখন কোথাও ভ্রমণ করতে চায় তখন তারা পর্যটন গন্তব্য সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে থাকে মূলত গণমাধ্যম থেকে। বর্তমান বিশ্বে গণমাধ্যম একীভূতকরণের যুগে তথ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত দক্ষ এবং সহজ। একটি পর্যটন গন্তব্য কে সঠিকভাবে তুলে ধরতে গণমাধ্যম এর কোন বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রচারণার ক্ষেত্রে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রসার সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের পর্যটন খাতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনয়ন করেছে। মানুষ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে পর্যটন গন্তব্য সম্পর্কে খবর নেয়। পর্যটন খাতের উন্নয়ন ও প্রসারে তথ্য বিনিময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হতে পারে সামাজিক গণমাধ্যম। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এর নিজস্ব ওয়েব সাইট ও পেজ রয়েছে।আমরা চেষ্টা করছি তাদের ওয়েবসাইট ও পেজ গুলিকে আরো পর্যটক বান্ধব এবং তথ্যবহুল করতে।

বর্তমানে আমাদের দেশের প্রচুর মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলিতে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যাতায়াত করে উল্লেখ করে মাহবুব আলী বলেন,পর্যটনের জন্য প্রয়োজনীয় সব সম্পদ ও সম্ভাবনা আমাদের রয়েছে। এখন প্রয়োজন আমাদের পর্যটন গন্তব্য গুলোকে সঠিকভাবে, সুন্দরভাবে আমাদের অভ্যন্তরীণ পর্যটক এবং বিদেশি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরা। এ ধরনের মেলার আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের পর্যটন খাত বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করার পাশাপাশি আমাদের লক্ষ লক্ষ অভ্যন্তরীণ পর্যটকদের দেশের ভেতরে পর্যটন গন্তব্য বেছে নেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করবে।

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি তৌফিক উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাগমিক চৌধুরী, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস,আসাম ট্যুরিজম কর্পোরেশন লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভাস্কর গোখান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ, টোয়াবের পরিচালক (ফেয়ার) তসলিম আমিন শোভন।

এসি/এসএইচ/