মোদি ‘হারাতঙ্ক’ রোগে ভুগছেন : মমতা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৪৭ এএম, ২১ এপ্রিল ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ০৮:৪৮ এএম, ২১ এপ্রিল ২০১৯ রবিবার
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার ভয়ে ‘হারাতঙ্ক’ রোগে ভুগছেন এবং প্রতিদিন উল্টোপাল্টা বকছেন বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার পানিঘাটায় এক নির্বাচনি সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ওই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘জানেন তো, পাগলা কুকুর কামড়ালে জলাতঙ্ক রোগ হয়। আর নরেন্দ্র মোদি হারবে বলে ভয়ে চোখমুখ শুকিয়ে গেছে। আর হারাতঙ্ক রোগে ভুগছে। সেজন্য ওনার এখন হারাতঙ্ক হয়েছে। উনি এখন হারাতঙ্ক রোগে ভুগছেন। আর রোজ উল্টোপাল্টা বকে যাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘বিজেপি নেতাদের দুঃসাহস হয়েছে। সাহস থাকা ভালো কিন্তু দুঃসাহস থাকা ভালো না।’ তিনি প্রধানমন্ত্রীকে টার্গেট করে বলেন, ‘উনি বলছেন মমতা ব্যানার্জি কিচ্ছু করেনি। আমি জিজ্ঞেস করি মমতা ব্যানার্জি যদি কিছু করে না থাকে তার জবাব মানুষ দেবে। আপনি আগে বলুন পাঁচ বছরে দিল্লিতে আপনি কী করেছেন? তার জবাব আগে দিন।
পাঁচ বছরের মধ্যে সাড়ে চার বছর বিদেশে ঘুরে বেড়িয়েছে। আর মানুষের মুণ্ডু কেটে ফুটবল খেলা হয়েছে। গণপিটুনি, গো-রক্ষকের নামে মানুষ হত্যা, সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার, দলিত, আদিবাসী, সাধারণ মানুষের উপরে অত্যাচার।’
অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘আসামে দেখুন ২২ লাখ হিন্দু বাঙালির নাম বাদ গেছে। ওরা বলছে বাংলায় এনআরসি করবে। আমি বলেছি আগে আসমকে ঠেকাও তারপরে বাংলার দিকে তাকাও। আগে দিল্লি সামলাও, তারপরে বাংলার দিকে তাকাও।’
তিনি তীব্র কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘দিল্লির চেয়ার করছে টলমল, বিজেপি টলমল, আর বিজেপির ক্যাডাররা গদা আর তলোয়ার নিয়ে ঘুরছে। পাঁচ বছরে বেকারদের চাকরি হল না কেন? আপনি বছরে দুই কোটি বেকারের চাকরি দেওয়ার কথা বলেছিলেন।’
মমতা বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘মিথ্যে কথা বলতে বলতে ওদের জিভে পোকা পড়ে গেছে। রোজ মিথ্যে বলছে, রোজ কুৎসা করছে, রোজ অত্যাচার করছে, রোজ সন্ত্রাস করছে। আর গায়ের জোরে বলছে আমি হিন্দু, আর সবাই বাদ। উনি একা দেশপ্রেমিক আর সবাই বাদ। আগে বলত মিত্র, এখন বলছে শত্রু। উনি একা মিত্র আর সবাই শত্রু। এই হয়ে গেছে ওনার অবস্থা।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন নদীয়ার বগুলাতেও এক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমের সমালোচনা করে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
তথ্যসূত্র: পার্সটুডে
এমএইচ/