ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

২৪ বার নির্বাচনে হেরেও হাল ছাড়েননি যে ব্যক্তি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪৫ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ০৯:৫৮ এএম, ২২ এপ্রিল ২০১৯ সোমবার

গত দুই মাস ধরে ৭৩ বছর বয়সী বিজয়প্রকাশ খন্দকার এলাকায় ঘুরে-ঘুরে তার পক্ষে নির্বাচনি সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন। "আমি জনগণকে দেখাতে চাই, পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রে দলীয় রাজনীতি একমাত্র উপায় নয়। আমি আমার মতো আরও স্বতন্ত্র প্রার্থী দেখতে চাই। এর মাধ্যমে আমরা দুর্নীতি দূর করতে পারবো" বলছিলেন তিনি।

তিনি যে সংসদীয় আসনে লড়ছেন সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ এপ্রিল। গত ১১ এপ্রিল ভারতের নির্বাচন শুরু হয়েছে। সাত দফায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়ে ভোট গণনা শুরু হবে ২৩ মে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া খন্দকার আশা করেন তিনি এক সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী হতে পারলে তিনি প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিককে ১৭ হাজার রুপী দেবেন। তার মতে, অন্য জায়গায় খরচ কমালে এ অর্থ দেওয়া কোন কঠিন কাজ নয়। ১৯৮০`র দশকের শেষ পর্যন্ত মহারাষ্ট্র প্রদেশের বিদ্যুৎ সংস্থায় কাজ করেছেন। খন্দকারকে এখন দেখা যায় শহরজুড়ে একটি স্টিলের ঠেলাগাড়ি নিয়ে ঘুরছেন।

সে গাড়িতে তাঁর নির্বাচনি প্রতীক লাগানো রয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে "বুট জুতার বিজয়"। কারণ তার নির্বাচনি প্রতীক বুট জুতা। তিনি যখন শহরজুড়ে এই ঠেলাগাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়ান তখন এটি এক মজার পরিবেশ তৈরি করে। অনেকে তাকে উপেক্ষা করে। আবার অনেকে তার সঙ্গে সেলফি তুলতে চায়।
খন্দকার ২৪টি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকে শুরু করে জাতীয় নির্বাচন। ২০১৪ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ৩০০০ স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিল।

এদের মধ্যে মাত্র তিনজন জয়লাভ করেছিল। ভারতের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে ভালো ফলাফল করেছিল ১৯৫৭ সালের নির্বাচনে।তখন ৫৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল।

ভারতের নির্বাচনি আইন অনুযায়ী যেসব প্রার্থী জাতীয় রাজনৈতিক দল থেকে মনোনয়ন পায় তাদের নাম ব্যালট পেপারের সবচেয়ে উপরের দিকে থাকে। এরপর থাকে প্রাদেশিক দলগুলোর প্রার্থীদের নাম। সর্বশেষ থাকে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নাম।

নির্বাচনের জন্য বিজয়প্রকাশ খন্দকার তার ডাক নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন যেটির প্রথম অক্ষর শুরু হয়েছে ইংরেজি সর্বশেষ বর্ণ `জেড` দিয়ে। ব্যাটল পেপারে নাম সবার শেষে রাখার জন্য তিনি নামের এ পরিবর্তন করেছেন।

"ভোটারদের কাছে আবেদন হচ্ছে, ব্যালট পেপারে সর্বেশেষ প্রার্থীকে ভোট দিন।

তথ্যসূত্র: বিবিসি।

এসএইচ/