সন্ধ্যায় পর্দা উঠছে বঙ্গমাতা গোল্ড কাপের
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:০৬ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০১৯ সোমবার
প্রথমবারের মতো আয়োজিত বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী আন্তর্জাতিক গোল্ড কাপের পর্দা উঠতে যাচ্ছে আজ সোমবার। সন্ধ্যায় স্বাগতিক বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে ১২ দিন ব্যাপি এই ফুটবল উৎসব।বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়।
বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে এই টুর্নামেন্টটি বাফুফের ব্যবস্থাপনায় মেয়েদের প্রথম কোনো বৈশিক আসর। এর আগে ৫ বার আয়োজিত হয়েছে ছেলেদের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। গেল ক’বছরে নারী ফুটবলে বাংলাদেশের ধারাবাহিক সাফল্য বিচারে সেই আদলেই একটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের চিন্তা করেছে বাফুফে। যার নাম করণ হয়েছে বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে।
গেল ক’বছরে বাংলাদেশের সাফল্যগুলো এসেছে বয়সভিত্তিক আসরে। জাতীয় দল তেমন সুবিধা করতে পারেনি কোথাও। বলতে গেলে বাংলাদেশের মেয়েদের শক্তিশালী মূল জাতীয় দল গঠন এখনো প্রক্রিয়াধীন। এ কারণে এই টুর্নামেন্ট অনূর্ধ্ব-১৯ দল নিয়ে আয়োজনের পরিকল্পনা হাতে নেয় আয়োজকরা।
বাংলাদেশ ছাড়াও পাঁচ দল অংশ নিচ্ছে আসরে। যারা খেলবে মোট দুটি গ্রুপে ভাগ কবে। ‘এ’ গ্রুপের তিন দল- মঙ্গোলিয়া, তাজিকিস্তান ও লাওস। স্বাগতিক বাংলাদেশ আছে ‘বি’ গ্রুপে। তাদের সঙ্গী- সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কিরগিজস্তান।
বয়সভিত্তিক পর্যায়ে বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের মেয়েদের সাফল্য বিবেচনায় আসরের অন্য দলগুলো শক্তি সামর্থ্যে খুব একটা এগিয়ে নেই স্বাগতিকদের চেয়ে। বরং কিছু দলকে নিয়মিতই বড় ব্যবধানে হারানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে বাংলাদেশের। অবশ্য ‘এ’ গ্রুপের দুই দল লাওস ও মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে আগে কখনো খেলেনি বাংলাদেশের মেয়েরা।
তবে অন্য গ্রুপে বলে দলগুলোর খেলা দেখার সুযোগ থাকছে বাংলাদেশের। সেখান থেকেই প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ধারণা পেতে চায় বাংলাদেশ। তবে আপাতত বাংলাদেশের সব ভাবনা আরব আমিরাতকে নিয়ে। যাদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সন্ধ্যায় শুরু হবে মিশন। এই দলটাকে বয়স ভিত্তিকে একাধিকবার গোল উৎসব করে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের বাছাই পর্বে ঢাকাতেই বাংলাদেশ তাদের হারিয়েছিল ৭-০ গোলে।
বলতে গেলে সেই দলটিই অনূর্ধ্ব-১৯ এর ব্যানারে খেলতে এসেছে। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে অতীতে হারলেও আরব আমিরাত নিজেদের টুর্নামেন্টে ফেরারিট ভাবতে চাইছে। দলটির কোচ জানিয়েছেন এমনই।
বাংলাদেশ অবশ্য প্রতিপক্ষ কোনো দলকেই খাটো করে দেখছে না। তবে বঙ্গমাতার নামে এই আসরকে স্মরণীয় করে রাখাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য। সেই স্মরণীয় করে রাখা মানে ট্রফিটা ঘরেই রেখে দেওয়া। ৩ মের ফাইনালের মঞ্চে শিরোপা উৎসব করা।
গ্রুপে বাংলাদেশ কিরগিজস্তানের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি খেলবে ২৬ এপ্রিল। দুই গ্রুপ থেকে সেরা দু’টি দল নাম লিখাবে সেমিফাইনালে, এরপর ফাইনাল।
টিআর