ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

মহানবী ও জিব্রাইল (আঃ) এর-কথোপকথন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩৭ এএম, ২৩ এপ্রিল ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০২:০৪ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) ও বার্তাবাহক ফেরেশতা জিব্রাইল (আঃ)এর-কথোপকথন বা হাদিসে জিব্রাইল (আঃ) 

ইসলাম শুধুমাত্র একটি ধর্মই নয়। একটি পরিপূর্ণ শাশ্বত জীবন বিধান। মানুষে ব্যত্তিগত সামাজিক অর্থনৈতিক  রাজনৈতিক, আন্তর্জাতিক বিষয়সহ মানুষের সার্বিক জীবনের সব সমস্যার সমাধান রয়েছে মহান রাব্বুল আলামীনের ঐশি পবিত্র মহাগ্রন্থ আল-কোর আনুল কারীমের মধ্যে। এ শাশ্বত জীবন বিধান মানব সমাজে বাস্তবে অনুসরণ ও অনুকরণের জন্য সর্ব কালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, মানবতার মহান মুক্তির দিশারী হযরত মুহাম্মদ (সা:) কে আল্লাহ ছোবাহানাহু তায়ালা বিশ্ববাসীর রহমত সরুপ এ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন- তেমাদের জন্য রাসুলের জীবনীর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ । তাঁর প্রতিটি কথা, কাজ, অনুমোদন, নির্দেশনা, আদেশ, নিষেধ ও উপদেশ দুনিয়া –আখেরাতের কল্যাণের বার্তাবাহী। তাঁকে সমগ্র মানব জাতির শিক্ষক রূপে এ ধরাধমে প্রেরণ করা হয়েছে। তাঁর সে কালজ্বয়ী আদর্শ ও অমিয়বাণী দ্যুাতি ছড়িয়ে পথপদর্শন করেছে যুগ যুগান্তরে। তাঁর পরশে আলোকিত হয়েছে বর্বর জাহিলি সমাজ। ঘন ঘোর অনধকারে নিমজ্জিত জাতি পরিণত হয়েছে গোটা বিশ্বের অনুকরণীয় আদর্শে।

একদা হুযুর (সাঃ) সাহাবীদের উদ্দেশ্যে মসজিদে নববীতে তাশরীফ রাখলেন, এমন সময় এক অপরিচিত ব্যক্তি হুযুর (সাঃ) এর সম্মখে আগমন করে তাকে প্রশ্ন করলেন, ঈমান কি ? তিনি বললেন, ঈমান হল, তুমি আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতা, আখেরাত তাঁর সাক্ষাত এবং তাঁর রাসূলের উপর এবং পুনরুত্থানের উপর ঈমান আনবে । তারপর তিনি প্রশ্ন করলেন ইসলাম কি ? হুযুর (সাঃ) বললেন, ইসলাম হল, তুমি এক আল্লাহর ইবাদত করবে, তার সাথে কাউকে শরীক করবে না । নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং রমযানের রোযা রাখবে । তারপর আগন্তক জিজ্ঞেস করলেন, ইহসান কি ? হুযুর (সাঃ) বললেন, তুমি এ খেয়ালে আল্লাহর ইবাদত করবে যেন তুমি মহান আল্লাহকে দেখতে পাচ্ছ । যদি তুমি আল্লাহকে দেখতে না পাও, তবে মনে রাখবে, স্বয়ং আল্লাহ তোমাকে দেখতে পাচ্ছে ।

তারপর আগন্তক প্রশ্ন করলেন, কেয়ামত কবে হবে ? হুযুর (সাঃ) বললেন, প্রশ্নকৃত প্রশ্নকারী অপেক্ষা এ বিষয়ে বেশী জ্ঞান নয় । তবে আমি তোমাকে কেয়ামতের আলামত সম্পর্কে খবর দিচ্ছি । তা হল, বান্দী যখন তাঁর মালিককে জন্ম দিবে, যখন নিকৃষ্ট উটের মালিকগণ বড় বড় অট্টালিকা বানিয়ে গৌরব করবে । পাঁচটি বন্তু এমন রয়েছে যার সম্পর্কে আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ জ্ঞাত নয় । অতঃপর রাসূল (সাঃ) নিন্মুক্ত আয়াত তেলাওয়াত করেন-

“মহান আল্লাহর কাছেই রয়েছে কেয়ামতের এলেম, বৃষ্টি কখন অবতীর্ণ হবে, মায়েদের রেহেমে কি রয়েছে, তুমি আগামীকাল কি করবে, কোন স্থানে তোমার মৃত্যু হবে, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ সব কিছু জানেন ও শুনেন” ।তারপর আগন্তক পেছনের দিকে চলে গেলেন । অতঃপর হুযুর (সাঃ) সাহাবীদেরকে বললেন, তাঁকে ডেকে আন । কিন্তু সাহাবীগণ তাঁকে পেলেন না ।অবশেষে হুযুর (সাঃ) বললেন, ইনি হযরত জিব্রাইল (আঃ) তিনি এসেছিলেন মানুষদেরকে তাদের দ্বীন সম্পর্কে জ্ঞান দেয়ার জন্য ।

মুহাম্মদ বিন ইসমাইল বিন ইব্রাহিম বিন মুগীরাহ বিন বারদিযবাহ কতৃক রচিত সহীহ আল-বুখারী, অধ্যায়ঃ ০২, পর্বঃ ঈমান, হাদিস নাম্বারঃ ৪৮,

গ্রন্থনা আনোয়ারুল কাইয়ূম কাজল