ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

অন্যের বানানো শরবত খেতে আপত্তি ওয়াসার এমডির

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩৯ পিএম, ২৩ এপ্রিল ২০১৯ মঙ্গলবার

ওয়াসার পানিকে শতভাগ বিশুদ্ধ বলে দাবি করলেও সেই পানি দিয়ে অন্যের বানানো শরবত খেতে আপত্তি আছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান। তিনি বলেন, আমি তো খাব আমার পানি। আমি কোনটা খাব, না-খাব; সেটা তো আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

মঙ্গলবার একটি গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন তাকসিম এ খান।

তিনি বলেন, ওয়াসার সরবরাহ করা পানি শতভাগ বিশুদ্ধ। তাদের পানিতে যদি ময়লার অভিযোগ থাকে, তাহলে তারা পরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে পারে।

ওয়াসার পানি যেহেতু সুপেয়, মিজানুরের বানানো ওই শরবত তিনি খাবেন কি না –এমন প্রশ্নের জবাবে তাকসিম এ খান বলেন, অন্য কারো হাতে বানানো শরবত তিনি খাবেন না। মিজানুরের নিয়ে আসা শরবত খাওয়ারও কোনো প্রশ্ন আসে না।

এদিকে, দুপুরে জুরাইন এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান কাচের জগে করে ওয়াসার পানি দিয়ে শরবত বানিয়ে নিয়ে আসলে ওয়াসার এমডির প্রতিনিধি হয়ে কথা বলেন এ কে এম সহিদ উদ্দিন। এসময় তাকে শরবত খেতে অনুরোধ করা হলে তিনি জানান, পানির লাইন ঠিক করে তিনি শরবত খাবেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, পানিতে কোনো সমস্যা নেই। তবে কোথাও যদি ময়লা পানি আসে, সেটা পাইপলাইনের জন্য। কারণ আমরা যে গভীর নলকূপ থেকে পানি নেই সেই পানি শতভাগ নিরাপদ।

ওয়াসার এমডির বক্তব্যে আশ্বস্ত হয়ে কেউ যদি ওয়াসার পানি পান করে অসুস্থ হন তাহলে তার দায়ভার কে নেবে? মিজানুর রহমানের এমন প্রশ্নের জবাবে সহিদ উদ্দিন বলেন, আমি নেবো। ওয়াসা নেবে।

গত ১৭ এপ্রিল ‘ঢাকা ওয়াসা: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে টিআইবি। এতে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার ৯১ শতাংশ গ্রাহক পানি ফুটিয়ে পান করেন। আর বাসাবাড়িতে এই পানি ফোটাতে বছরে পোড়াতে হয় ৩৬ কোটি ৫৭ লাখ ৩৭ হাজার ঘনমিটার গ্যাস। যার আর্থিক মূল্য ৩৩২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

এরপর গত শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেন ওয়াসার এমডি তাকসিম। তিনি বলেন, ওয়াসার সরবরাহ করা পানি শতভাগ বিশুদ্ধ।

এসএইচ/