ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

শরিয়তপুরের উন্নয়নে ৬০০ কোটি টাকার প্রকল্প

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:১৫ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০১৯ বুধবার

শরিয়তপুরের সার্বিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত আন্তরিক বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক সহযোগিতায় আমরা নাগরিক সুবিধার নিশ্চিত করে পিছিয়ে পড়া জনপদের তকমা ঘোচাতে চাই।

নড়িয়া উপজেলার চর আত্রা ইউনিয়নে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ কার্যক্রম ও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের মূলস্রোতে নিজেদের সম্পৃক্ত করার মূল উপাদান বিদ্যুত সংযোগ প্রদান। যেহেতু চরআত্রা, নওপাড়া ও কাঁচিকাটা মূল ভূখণ্ড হতে বিচ্ছিন্ন তাই এখানে বিদ্যুত সংযোগ দেয়া খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। প্রযুক্তির আশীর্বাদে আমরা সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে এই পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুত সংযোগ পৌঁছে দেব।

এনামুল হক শামীম বলেন, গত নির্বাচনে আমি যখন ওই চরে গণসংযোগে এসেছিলাম, তখন আপনাদের অন্যতম দাবি ছিল বিদ্যুৎ সংযোগ। আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, ভোটে জিতলে তিন মাসের মধ্যেই বিদ্যুতের আলো পৌঁছাব। প্রধানমন্ত্রী, দেশরত্ন শেখ হাসিনার ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছানোর অনুপ্রেরণায় ও তার নির্দেশে আমি সেই প্রতিশ্রুতি আজ রক্ষা করতে পেরেছি। কারণ আমরা স্বপ্ন দেখি, স্বপ্ন দেখায় আর স্বপ্নের বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের ভাগ্যন্নোয়নে কাজ করি।

পরে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম এ দিন সন্ধ্যায় নওপাড়া ইউনিয়নেও সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘শরিয়তপুরের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য ৬০০ কোটি টাকার নানাবিধ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা শরিয়তপুরকে একটি মডেল জেলায় রূপান্তরিত করতে চাই।’

উল্লেখ্য, শরীয়তপুর জেলা শহর বা উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় পার্শ্ববর্তী মুন্সীগঞ্জ জেলা থেকে পদ্মা নদীর তলদেশ দিয়ে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের (সাবমেরিন ক্যাবল) মাধ্যমে নদীর ৮০০ মিটার অংশে বিদ্যুত সংযোগ প্রদানের এই কার্যকম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ১০ মেঘাওয়াট ক্ষমত্সম্পন্ন এই সংযোগের ফলে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবে চরগুলোতে বসবাসকারী প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। পদ্মা ও মেঘনা নদীর পাড় ঘেঁষে গড়ে ওঠা চরে প্রায় ৭০ বছর আগ থেকে মানুষের বসবাস শুরু। ওই চরের নওপাড়া ও চরআত্রা ইউনিয়ন পড়েছে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় ও কাঁচিকাটা ইউনিয়ন ভেদরগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত।

বাংলাদেশ বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য মো. আব্দুস ছালাম, জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, শরিয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু অনল কুমার দে, শরিয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল ওহাব ব্যাপারী, নড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম ইসমাইল হক, ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হুমায়ন কবির মোল্লা প্রমুখ এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

একে//