ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

পানি খাওয়াতে যাওয়ার বিষয়টি সাজানো নাটক: ওয়াসা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০৪ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ১১:২৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০১৯ বুধবার

রাজধানীর জুরাইনবাসীর পক্ষ থেকে মিজানুর রহমানের ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পানি খাওয়াতে যাওয়ার বিষয়টিকে ‘সাজানো নাটক’ বলে উল্লেখ করেছে ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিস্কাশন কর্তৃপক্ষ (ওয়াসা)। বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে ঢাকা ওয়াসার উপপ্রধান জনতথ্য কর্মকর্তা এ এম মোস্তফা তারেক গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি করেন।

‘ঢাকা ওয়াসার পনি নিয়ে সাজানো নাটক’ শিরোনামে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুরাইনের ৫৩নং ওর্য়াডের অধিবাসী মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী, মতিউর রহমান ও আরও একজন গত ২৩ এপ্রিল ওয়াসার পানি নিয়ে যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও সাজানো নাটক।

প্রথমত তারা যে পানি জগে করে ওয়াসা ভবনে নিয়ে আসেন সেটি তাদের বাসার পানি নয়। তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট একাধিক প্রকৌশলীকে জুরাইনে পাঠানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, পূর্ব জুরাইনের মিজানুর রহমান (দাগ নং-১৯১৮) ও মতিউর রহমান (দাগ নং-৭৪৮) গত ২৪ এপ্রিল বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার উপস্থিতিতে বিশুদ্ধ পানি পায় না বলে ডিরেক্টরের (টেকনিক্যাল) কাছে অভিযোগ করে। এই অবস্থায় দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ নবাব আলী উল্লেখিত ঠিকানায় সরেজমিনে পরিদর্শনে যান। উপসহকারী প্রকৌশলী এপিএলএমসহ প্রথমে দাগ নং-৭৪৮ বাড়িতে যান। সেখানে বাড়ির মালিকের স্বামী মতিউর রহমানের ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়। অভিযোগ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাতের বাসায় পানির কোনো সমস্যা নেই। আমি কোনো অভিযোগ করিনি। জানতে পানি মিজানুর রহমান আমার ভাইকে সঙ্গে করে ওয়াসা অফিসে নিয়ে যায়।

এরপর দাগ নং-১৯১৮-এর সামনে গেলে সেখানে ওয়াসা ভবন থেকে ফিরে সিএনজি থেকে নামার সময় প্লাকার্ডসহ মতিউর রহমান ও মিজানুর রহমানের স্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়। ঢাকা ওয়াসার পরিচয় দিয়ে ১৯১৮ নং হোল্ডিংয়ে প্রবেশ করা হয়। সেখানে উপসহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ নবাব আলী চাপকল চেপে পানির মান ভাল দেখতে পান, সেখানে সবার উপস্থিতিতে উপসহকারী প্রকৌশলী ও এপিএলএম সেই পানি পান করেন। পরে অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে মিজানুর রহমানের স্ত্রী বলেন, এখন আমাদের পানি ভাল কিন্তু এলাকার পানির সমস্যা আছে। ময়লা পানির নমুনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই পানি অন্য জায়গা থেকে নেওয়া হয়েছে। তবে ময়লা পানি প্রাপ্তির ঠিকানা জানতে চাইলে তিনি তা দিতে অস্বীকার করেন।

বিজ্ঞপ্ততিতে আরও বলা হয়, মিজানুরের বাসার পানির নমুনা ওয়াসার ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আংশিক রিপোর্ট পাওয়া গেছে। বাকি রিপোর্ট আগামীকাল পাওয়া যাবে।

এছাড়া ঢাকা ওয়াসা যে পানি সরবরাহ করে তার উৎস সম্পূর্ণ নিরাপদ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তবে লাইনের সমস্যার কারণে অথবা গ্রাহকের রির্জাভার অপরিষ্কার থাকলে কোথাও কোথাও নিরাপদ পানি দূষিত হতে পারে। এই অবস্থা উত্তরণের জন্য ঢাকা ওয়াসা তার সমস্ত পাইপলাইন পরিবর্তনের কাজ হাতে নিয়েছে। যার ৪৫ ভাগ কাজ এরইমধ্যে শেষ হয়েছে।

আরকে//