ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২০ এএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার

আজ চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৮৮৭ সালের এ দিনেই যাত্রা শুরু হয়েছিল দেশের প্রধান এ সমুদ্রবন্দরের।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ বলেন, ‘১৩২ বছর ধরে দেশের অর্থনীতি বিনির্মাণে প্রধান ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। দীর্ঘ এ পথ পরিক্রমায় সফল ছিল বলেই আজ দেশের অর্থনীতির প্রাণপ্রবাহ বলা হয় চট্টগ্রাম বন্দরকে। প্রতি বছর যে বাজেট হচ্ছে তার সিংহভাগ অর্থের জোগান দিচ্ছে এ বন্দর। কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে না পারলেও সীমিত সম্পদে সর্বোচ্চ সেবা দিচ্ছি আমরা।’

১৯৭৭ সালে ‘এসএস টেনাসিটি’ নামক জাহাজে ছয়টি কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং শুরু হয়। ১৯৮৮ সালেই স্পর্শ করে এটি এক লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের মাইলফলক। ২০০৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে ২০ ফুট দীর্ঘ কনটেইনার ওঠানামা হয় ১০ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯৯টি। আর ২০১৮ সালে এসে এ সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় ২৯ লাখের ঘর। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে খোলা পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের মাত্রাও। ২০১০ সালে চার কোটি ৫৩ লাখ টন কার্গো পণ্য ওঠানামা হয়েছিল চট্টগ্রাম বন্দরে। ২০১৮ সালে এসে খোলা পণ্য ওঠানামার হার বেড়েছে ৯ কোটি ৬৩ লাখ টনেরও বেশি। ২০১০ সালে দুই হাজার ২০৩টি জাহাজ এসেছিল চট্টগ্রাম বন্দরে। ২০১৮ সালে একই বন্দর হ্যান্ডেল করেছে তিন হাজার ৭৪৭টি জাহাজ।

পোর্ট ইউজার্স ফোরাম ও চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘সীমিত সম্পদ দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমরা সর্বোচ্চ সেবা পাচ্ছি। আমাদের প্রয়োজনের তুলনায় সেবার পরিমাণ কম হলেও আমরা এ বন্দরকে নিয়ে আশাবাদী। নতুন টার্মিনাল চালু এবং নতুন যন্ত্রপাতি বহরে যুক্ত হলে বন্দরের সক্ষমতা যেমন বাড়বে তেমনি কমবে আমাদের খরচও।’

বিজিএমইএর বন্দর ও কাস্টমবিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘নানা সীমাবদ্ধতা থাকার পরও দেশের ভরসা হয়ে আছে চট্টগ্রাম বন্দর। পর্যাপ্ত অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও জেটি থাকলে এ বন্দরের সক্ষমতা আরও বাড়ত। তখন পণ্য নিয়ে আর কোনো জাহাজকে অপেক্ষা করতে হবে না। চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করা হলে চট্টগ্রাম বন্দর হবে বিশ্বমানের বন্দর।’

এসএ/