বেনাপোল স্থলবন্দরের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গণশুনানী
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৪:৩৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার
দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বন্দরের সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করনের লক্ষে গণশুনানী করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে বেনাপোল চেকপোষ্ট আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবনে কাস্টমস, সিএন্ডএফ, ইমিগ্রেশন, ব্যাংক, গোয়েন্দা সংস্থা, বিজিবি, সাংবাদিক শ্রমিক প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এই গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়।
বেনাপোল স্থল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) প্রদোষ কান্তি দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (অর্থ ও প্রশাসন) ও অতিরিক্ত সচিব আলাউদ্দিন ফকির।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থলবন্দরের সহকারি পরিচালক (প্রশাসন) জাকির হোসেন, শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল, প্রশাসনিক অফিসার আবুল হোসেন, স্থল বন্দরের খন্ডকালিন সদস্য জাহিদুল ইসলাম, বেনাপোল কাস্টম হাউজের সহকারি কমিশনার উত্তম চাকমা, বন্দরের উপ-পরিচালক আব্দুল জলিল, আব্দুল্লাহ আল মামুন, বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টের সভাপতি মফিজুর রহমান স্বজন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিলন, বন্দরবিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন, বন্দরের কন্ট্রাক্টর অহিদুজ্জামান প্রমুখ।
উন্মুক্ত গণশুনানীতে অংশগ্রহণকারীরা বেনাপোল বন্দরের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। তারা বলেন, বেনাপোল বন্দরে নেই প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট, নেই ফায়ার সার্ভিসের পর্যাপ্ত সরঞ্জাম, চুরিরোধে নেই কোন সিসি ক্যামেরা। এমনকি প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা কর্মী।
এছাড়া বৃহত্তর এই বন্দরে প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক কাজ করে। সেখানে নেই কোন হাসপাতাল এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা। বন্দরে কাস্টমস, বিজিবি ও বন্দরের লোক একই পণ্য তিন জায়গায় এন্ট্রি করায় একদিকে যেমন আমদানি কমে যাচ্ছে। তেমনি অন্যদিকে সময়ও নষ্ট হচ্ছে। এর আগে শুধু কাস্টম এন্ট্রি করায় এই বন্দরে ৭ থেকে সাড়ে ৭ শত গাড়ি পণ্য আমদানি হতো। বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩ শত ট্রাক। বন্দরে জায়গা সংকটের কারনে যানজট হচ্ছে। শুনা গিয়েছিল ১শ‘৭৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে যানজট নিরসনে। কিন্তু সেই জমির ফাইল এখনো মন্ত্রনালয়ে বন্দি রয়েছে। বেনাপোল বন্দর জানে এখানে জমি প্রয়োজন। সময়মত জমি না নিয়ে বর্তমানে তিনগুন দামে জমি অধিগ্রহণ করতে হচ্ছে এতে বন্দরের অর্থ বেশি খরচ হবে।
প্রধান অতিথি আলাউদ্দিন ফকির বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে মানুষের নৈতিকতারও আস্তে আস্তে পরিবর্তনের সাথে দেশে উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। একটি দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে প্রয়োজন নৈতিকতা বোধ সততা। নৈতিকতা ও সততা হলো মানুষের কাজ কর্মের শুদ্ধাচার। দেশের আজ অনেক প্রবৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে দেশ এগিয়ে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হয়েছে। আস্তে আস্তে বেনাপোল বন্দরের উন্নয়নও হবে বলে তিনি জানান।
কেআই/