ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সড়কে নিহত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী: চালককে খুঁজছে পুলিশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৫৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৭:২৬ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার

রাজধানীর কলেজগেট এলাকায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহমিদা হক লাবণ্য নিহত হওয়ার পর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে ভিড় জমিয়েছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ঘাতক কাভার্ড ভ্যান চালক ও উবার রাইডারের বিচারের দাবি জানান।

পুলিশের শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। মেয়েটি উবার মোটোতে রাইড নিয়েছিল। দুর্ঘটনায় উবার চালক সুমন আহত হলেও পুলিশ হাসপাতালে যাওয়ার আগে সে হাসপাতাল থেকে চলে যায়।

তিনি বলেন, আমরা রাইডারকে খোঁজার চেষ্টা করছি। তার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। উবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার ঠিকানা পাওয়া গেছে। সে আদাবরে থাকে। আমরা তাকে ট্রেস করার চেষ্টা করছি। এছাড়া যে কাভার্ড ভ্যানটি তাকে চাপা দিয়েছে সেটিও শনাক্ত করার কাজ চলছে।

তিনি আরও বলেন, নিহত লাবণ্যের পরিবার বর্তমানে মর্গে অবস্থান করছে। প্রথমে তারা ময়নাতদন্ত না করার জন্য পুলিশকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তবে ময়নাতদন্তের বিষয়টি এখনো সুরাহা হয়নি।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পাশের সড়কে দুর্ঘটনায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হন। নিহত শিক্ষার্থীর নাম ফাহমিদা হক লাবণ্য (২১)। তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিইসি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় লাবণ্যকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত রাইডার সুমনকে হাসপাতালে পায়নি পুলিশ।

শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটলো সেটি কেউই বলতে পারছে না। আশপাশে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরাও নেই। আমরা কারণ জানার চেষ্টা করছি। তবে কয়েকজন বলেছেন, একটি দ্রুতগামি কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়।

ঘটনাটি সম্পর্কে এসআই নুরুল ইসলাম আরও বলেন, হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে ‘৯৯৯’ এ ফোন করে বলা হয়, দুর্ঘটনায় আহত দুইজন তাদের হাসপাতালে এসেছে। সেখান থেকে থানায় ফোন করা হলে আমি ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে আশপাশের অনেকের সঙ্গে কথা বলি। কেউই নিজ চোখে দেখেনি। আশপাশে যেসব সিসিটিভি ক্যামেরা আছে সেগুলো ঘটনাস্থল কাভার করে না। তবে যারা বলছেন কাভার্ড ভ্যানের কথা তারাও শুনেছেন বলে জানান। পুলিশ হাসপাতালে যাওয়ার আগেই মেয়েটির মৃত্যু হয়। তার বাসা শ্যামলীর ৩ নম্বর রোডে। হাসপাতালে তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত আছেন।

তিনি আরও বলেন, মেয়েটি একটি রাইড শেয়ারিং অ্যাপে যাচ্ছিল। কিন্তু এটা পাঠাও, উবার না মোটো তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ঘটনায় রাইডার সুমন আহত হয়েছেন। কিন্তু পুলিশ আসার আগেই সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল থেকে চলে যায়। সে তার প্রেসক্রিপশনটিও নেয়নি। তাকে ফোন দিলে তার ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আরকে//