বেনাপোলে ফুড ফ্লেভার আমদানির আড়ালে শাড়ি-থ্রিপিস
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৭:৪৬ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার
মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে ফুড ফ্লেভার আমদানির আড়ালে শাড়ি-থ্রিপিস ও কেমিকেল আমদানি করার অপরাধে ট্রাকসহ মালামাল জব্দ করেছে বেনাপোল কাস্টম কর্তৃপক্ষ। এসময় পণ্য বোঝাই ওই ট্রাকসহ তার সকল কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
বেনাপোল বন্দর থেকে জব্দকৃত পণ্য চালানটি বুধবার দুপুরে বেনাপোল কাস্টম হাউসে পুন:পরীক্ষা হয়েছে। পণ্য চালানটির আমদানিকারক ঢাকার রেড গ্রিন ইন্টারন্যাশনাল। পণ্য চালানটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান গত ২ এপ্রিল পণ্যটি আমদানি করার জন্য একটি এলসি খোলেন। পণ্য চালানটির প্যাকিং লিস্টে আমদানিকরা হয় ২৫ কার্টুনে মাত্র ৫০০ কেজি ফুড ফ্লেভার। কিন্তু পণ্য চালানটি জব্দ করার পর ওই ট্রাক থেকে ২০০ কেজি কেমিকেলসহ বিপুল পরিমাণ শাড়ি, থ্রিপিস পাওয়া যায়।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের ইনভেস্টিগেশন রিসার্স এন্ড ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের একটি প্রতিনিধি দল জব্দকৃত মালামাল পরীক্ষা করেছেন। পরীক্ষণে বুধবার রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। রিপোর্টে পণ্য চালানটির মালামাল ঘোষণার আড়ালে এসব পণ্য পাওয়া গেছে। যা থেকে সরকারের কয়েক লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি হচ্ছিল বলে জানান কাস্টম কর্তৃপক্ষ। তবে পণ্য চালানটিতে আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণায় ছিল ফুড ফ্লেভার।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, গোপন সূত্রে সংবাদ পাওয়া যায় একজন আমদানিকারক ভারত থেকে ঘোষণার আড়ালে একটি পণ্য চালান বেনাপোল বন্দরে নিয়ে আসছে। এমন সংবাদে কাস্টম হাউসের সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা রাশেদুর রহমান বন্দরের শেড এলাকা থেকে পণ্য বোঝাই একটি কাভার্ডভ্যান (ট্রাক) জব্দ করে। পরে ট্রাকটি কাস্টম হাউসে নিয়ে আসা হয়। পরে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে মালামাল পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষণে ঘোষণার আড়ালে অন্য পণ্য পাওয়া গেছে। পণ্য চালানটির সিএন্ডএফ এজেন্ট ছিলেন মেসার্স আহাদ এন্টার প্রাইজ।
এ ব্যাপারে সিএন্ডএফ এজেন্ট মালিক আব্দুল আহাদ জানান, ওই গাড়িতে তার আমদানিকারকের ৫০০ কেজি ফুড ফ্লেভার ছিল। অন্য সব মালের কোন তথ্য তাদের জানা নেই।
এ ব্যাপারে বুধবার রাতে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তদন্ত টিমের প্রধান করা হয়েছে বেনাপোল কাস্টম হাউসের ইনভেস্টিগেশন রিসার্স এন্ড ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের সহকারি কমিশনার মো. আকরাম হোসেনকে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। তদন্ত রিপোর্ট আসার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান উপ-কমিশনার।
কেআই/