টেকসই রাজস্ব আহরণে বাজেটে নীতিগত পরিবর্তন প্রয়োজন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:০৯ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:১১ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংগঠন ফরেন ইনভেস্টর’স চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফ আইসিসিআই) প্রেসিডেন্ট শেহজাদ মুনিম বলেন, ঘাটতি কমিয়ে রাজস্ব আয় বাড়াতে প্রতিবছরই বাজেটে কিছু নীতিগত পরিবর্তন আনা হয়। টেকসই রাজস্ব আহরণে এই পরিবর্তনগুলোর বিষয়ে বাজেট পরবর্তী মূল্যায়ন প্রয়োজন। কারণ নীতিগত পরিবর্তনগুলো কাজে না আসলে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত হয়।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে অনুষ্ঠিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটকে সামনে রেখে দৈনিক সমকাল ‘টেকসই রাজস্ব আহরণ: আমাদের অবস্থান’ শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। এতে সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি বৈঠকে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন।
শেহজাদ মুনিম বলেন, বিশ্বের সবদেশেই দেখা যায়, রাজস্ব ফাঁকির মাত্র ১০ ভাগ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ধরতে পারেন। তাই শাস্তির এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে যেন সবাই বুঝতে পারে, ফাঁকি দিয়ে পার পাওয়া যাবে না।
ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) অপারেটরস ফোরামের চীফ অপারেটিং অফিসার মুশফিক মনজুর বলেন, ভিওআইপি খাতে ২০১৫ সাল থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে সরকার। কিন্তু অবৈধ ভিওআইপি না থাকলে এ রাজস্ব আয় আরও অনেক বেশি হতো।
বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) মুখপাত্র শেখ শাবাব আহমেদ বলেন, সরকারের রাজস্ব আয়ের প্রায় ১০ ভাগ তামাক খাত থেকে আসে। গত নয় মাসে তামাক খাত থেকে সরকারের সাড়ে ২০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য থাকলেও আয় হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রা থেকে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা আদায় হয়নি। এর বড় কারণ গত বছর সরকার নিম্মস্তরের ১০ শলাকার এক প্যাকেট সিগারেটের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ৩৫ টাকা। এর আগের বছর এই প্যাকেটের দাম ছিল ২৭ টাকা। এক বছরেই প্যাকেট প্রতি দাম বেড়েছে আট টাকা অর্থাৎ প্রায় ৩০% মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অবৈধ বাজার গড়ে উঠেছে। যেখানে সরকারকে ৩৫ টাকার এক প্যাকেট সিগারেটে ৭১ ভাগ কর দিতে হয় সেখানে অবৈধ সিগারেট ১৫ থেকে ২০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অতিরিক্ত কমিশনার (বৃহৎ করদাতা ইউনিট) মোহাম্মদ শফি উদ্দিন, র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সারওয়ার আলম, সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম এবং আইজিডব্লিউ অপারেটরস ফোরামের সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম।
এই আলোচকগণ রাজস্ব ফাঁকি রোধে সমন্বিতভাবে কাজ করার এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজস্ব উদ্যোগে তথ্য সরবরাহ ও আইনগত দিকটির দায়িত্ব নিয়ে আইন- শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতার আহবান জানান।
কেআই/