ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

কলারোয়ায় স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:৫৭ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০১৯ শনিবার

সাতক্ষীরার কলারোয়া থানায় এক স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকালে এই ঘটনায় কলারোয়ায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান জানান, উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের ওই ছাত্রী বাদী হয়ে এ সংক্রান্তে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৪) গত ১৩ এপ্রিল বিকাল ৫টার দিকে প্রতিবেশি অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে পাশ্ববর্তী শহিদুল ইসলামের ছেলে রুহুল কুদ্দুসের বাড়ির বারান্দায় ফেলে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। যা ২৫ এপ্রিল ওই স্কুল ছাত্রী তার মাকে জানায়।

এনিয়ে ওই এলাকায় মেয়ের মা ও মেয়ে গ্রাম্য শালিশের দারস্থ হয়। সেখানে কোন সুরাহা না হওয়ায় শনিবার বিকালে কলারোয়া থানায় সাদ্দাম হোসেনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় একটি মামলা নং- ২২(৪)১৯ দায়ের হয়।

এদিকে মামলার ভিকটিম মামলায় উল্লেখ্য করেন যে, আসামী সাদ্দাম হোসেন তার প্রতিবেশি হওয়াতে পরিচয় হয়। ঘনঘন তাদের বাড়ীর আশে পাশে ঘুরাফেরা করার এক পর্যায়ে তার সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর দুই একদিন তার সাথে কথাবার্তা ও দেখা হয়। গত ১৩ এপ্রিল বিকেলে ভিকটিম পাশ্ববর্তী প্রতিবেশির বাড়ীতে টিভি দেখাকালীন আসামী সাদ্দাম হোসেন ইশারায় ডাক দিলে সেখানে যায়। তখন আসামী সাদ্দাম ওই শিক্ষার্থীকে সুকৌশলে পাশ্ববর্তী রুহুল কুদ্দুসের বাড়ির বারান্দায় নিয়ে যায়। তখন ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। সেই বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে এবং রুহুল কুদ্দুসের স্ত্রী রান্না ঘরে থাকায় ঝড়ের বাতাস ও বৃষ্টির মধ্যে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে নীরবে লোক-লজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু না বলিয়া রুহুল কুদ্দুসের বাড়ী হতে চয়ে যাই।

২৫ এপ্রিল মেয়েটির মা বিষয়টি খুলে বলে। তার পরে ভিকটিমের পিতা ও মাতা বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে শালিশের দারস্থ হয়। আসামী সাদ্দাম হোসেন শালিশে হাজির না হওয়ায় কলারোয়া থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়।

এ বিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন, ভিকটিম পুলিশ হেফাজাতে রয়েছে। আদালতে জবানবন্দি গ্রহণ শেষে অনুমতি নিয়ে মেডিকেল করা হবে।

কেআই/