ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

ভয়াল ২৯ এপ্রিল স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫৫ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০৮:৫৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৯ সোমবার

১৯৯১ সালের ভয়াল ২৯ এপ্রিল প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকায় প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ প্রাণ হারায়। এই ঘূর্ণিঝড়ে এক কোটি মানুষ ব্যাপক বাস্তুহারা হয়। নিহতদের স্মরণে কোস্টাল জার্নালিষ্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ এর উদ্যোগে ২৯ এপ্রিল সোমবার বিকেলে ঢাকার বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি মো. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল ঘূর্ণিঝড়ে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলের মানুষের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। রাস্তাঘাট, বনজ সম্পদসহ নানা সেক্টরে ঘটে ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়। তিনি প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রশমনে বনায়ন বাড়ানোর আহ্বান জানান।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল বলেন, ঘূর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা আবশ্যক। পরিবেশের ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে গণসচেতনতা বাড়াতে হবে। বনায়ন সৃষ্টি করে সবুজ বেষ্টনী তৈরি করতে হবে এবং পাশাপাশি বন উজাড় রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

কোস্টাল জার্নালিষ্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান আতাউল্লাহ খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন,সংগঠনের মহাসচিব এইচ এম আরমান হোসেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি মো. জিন্নাত আলী খান জিন্নাহ, কৃষক শ্রমিক পার্টি কেএসপির মহাসচিব মো. ফোরকান আলী হাওলাদার, সবুজ আন্দোলনের সভাপতি বাপ্পি সরকার ও জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল।

আলোচনা শেষে ১৯ এপ্রিল প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত ও দেশ-জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন, অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল।

কেআই/