সিকৃবি ও শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ভোক্তা অধিকার প্রশিক্ষণ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:১৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ১০:২৩ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৯ সোমবার
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ ও ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেনারি অ্যানিম্যাল এন্ড বায়োমেডিকেল সায়েন্সস অনুষদের নতুন ভবনের সেমিনার কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনসাস কনজুর্মাস সোসাইটি’ (সিসিএস)-এর সহযোগীতায় সংস্থার যুব শাখা ‘কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ’ (সিওয়াইবি)-এর সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। এতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো ফয়েজ উল্লাহ ও মো. জাহাঙ্গীর আলম।
কর্মশালায় সংগঠনটির সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সভাপতি শামসুল আলম রকির সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সিওয়াইবির প্রধান উপদেষ্টা ড. মু আশিকুজ্জামান, সহকারী অধ্যাপক রাহুল ভট্রাচার্য এবং সিওয়াইবির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সোহরাওয়ার্দী শুভ প্রমূখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, পৃথিবীর সকল মানুষ সে যেই হোক জন্মসূত্রে সে একজন ভোক্তা। কিন্তু তারা সংঘবদ্ধ নয়, সংঘবদ্ধ হলো ব্যবসায়ীরা। আমরা এই কর্মশালার মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আমরা নিরাপদ ও নির্ভেজাল পণ্য চাই।
শাবিপ্রবিতে ভোক্তা সংগঠনের যাত্রা শুরু-
এদিকে কর্মশালা থেকে ‘কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ’ (সিওয়াইবি)-এর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা উদ্বোধন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আফজাল হোসাইন নাঈমকে আহ্বায়ক ও সমাজকর্ম বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী ফাহিম শাহরিয়ার খানকে সদস্য সচিব করে আাগমী ২ মাসের জন্য ৮ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সিওয়াইবির কেন্দ্রীয় সংগঠনের অনুমোদক্রমে এ কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সোহরাওয়ার্দী শুভ। উক্ত কমিটি আগামী ২ মাসের মধ্যে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবে।
এছাড়া ৬ জনকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। তারা হলেন- ফাহিমা রহমান, সাবাহুন জাজিবা ঈশিতা,অহর্নীশ নন্দী শাওন, রাজীব সরকার, হিমেল মাহফুজ ও মুমু জাহান।
গতকাল (রোববার) কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ (সিওআইবি) এর কেন্দ্রীয় সভাপতি পলাশ মাহমুদ ও কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী মাহি মাহফুজ কমিটির অনুমোদন দেন।
এই আহ্বায়ক কমিটিকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ক্যাম্পাসের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার জন্য বলা হইল।
উল্লেখ্য, সিসিএস বাংলাদেশ সরকারের সোসাইটি অ্যাক্টে নিবন্ধিত একটি বেসরকারি সংস্থা। ২০১৫ সাল থেকে সংস্থাটি খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ ও ভোক্তা অধিকার বাস্তবায়নে সচেতনতা সৃষ্টি ও প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সিসিএস ও সিওয়াইবি কাজ করে যাচ্ছে।প্রায় ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এর শাখা রয়েছে।বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
এসএইচ/