বেনাপোলে প্রচন্ড দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৮:৫১ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০১৯ মঙ্গলবার
প্রচন্ড দাবদাহে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে যশোরের বেনাপোলের জনজীবন। ঘরে-বাইরে কোথাও মিলছে না স্বস্তি। বৃষ্টির অপেক্ষায় আকাশের দিকে তাকাচ্ছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। বৈশাখের রৌদ্র তাপ থেকে বাঁচতে সবাই একটু-আধটু ছায়া খুঁজছেন আবাল- বৃদ্ধ-বণিতা।
কয়েকদিন ধরেই ক্রমান্বয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা। ফলে প্রচন্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। এদিকে সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা বাড়বে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাতাসের আদ্রতাও বেড়ে গেছে। ফলে বাতাসের গতিবেগ কমে গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ।
সোমবার দুপুরে বেনাপোলে তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবারও তা অব্যাহত রয়েছে। বেশি প্রয়োজন না হলে সাধারণ মানুষ ঘর থেকে খুব একটা বের হচ্ছে না। সরকারি-বেসরকারিসহ কর্মজীবী মানুষ অতিরিক্ত ঘামে ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল। মঙ্গলবার তা মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার কোনো সুখবর নেই।
আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান বেশি হলে এবং বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ (আর্দ্রতা) বেশি থাকলে গরমের তীব্রতা কম অনুভূত হয়। যশোরসহ দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় বাতাসের আদ্রতা খুবই কম। বৈশাখ মাস শুরুর পর থেকেই উষ্ণতা বাড়তে থাকে যশোর অঞ্চলে। মানুষ অসহনীয় গরমের কারণে কোন কাজই ঠিকভাবে করতে পারছেনা। দিনের বেলায় রোদের উত্তাপ আর রাতের বেলা ভ্যাপসা গরম তছনছ করে দিচ্ছে জনজীবন। গরমে টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছে।
বৃষ্টিপাত হলে এ তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দু’এক দিনের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। তাই প্রচন্ড গরমে মানুষসহ প্রাণিকূল যেমন কষ্ট পাচ্ছে, পাশাপাশি সংকটে পড়েছে গ্রামের সাধারণ মানুষ। এখানে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে জীবন বাঁচানো দায় হয়ে পড়েছে তাদের।
জনজীবন প্রায় অচল হয়ে গেছে। সকাল ১০টার পর মানুষ রাস্তায় বেরুতে পারছে না। শহরে মানুষের আসা যাওয়া কমে গেছে। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বের হচ্ছে না। ফলে শিকেই উঠেছে ব্যবসা বাণিজ্য। অত্যাধিক গরমে দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে শ্রমিকরা কাজ করতে পারছে না। লোড-আনলোড ব্যাহত হচ্ছে। মানুষজন ঘরে বসবাস করতে পারছেনা বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে। দিনের প্রায় অর্ধেক সময় বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকতে হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষকে।
কেআই/