ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

মোদীর পক্ষে একজন গেলে লক্ষ নেতা তৈরি করব: মমতা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৪ এএম, ১ মে ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ১১:৪৬ এএম, ১ মে ২০১৯ বুধবার

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করে বলেন যে, তার সঙ্গে তৃণমূলের ৪০ জন বিধায়ক গোপনে যোগাযোগ রাখছেন। মোদীর এ দাবিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার বলেন, ‘‘যাকে নেওয়ার নিয়ে নাও। আমার একজন গেলে আমি একলক্ষ লিডার তৈরি করি।’’

এই ধরনের মন্তব্য করার জন্য মোদীর প্রার্থী পদ বাতিলেরও দাবি তুলেছেন তৃণমূলনেত্রী। এ দিন ভদ্রেশ্বরে নির্বাচনী সভায় মমতা বলেন, ‘‘সাংবিধানিক পদে থেকে এমন কথা বলা যায় না। আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।’’এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়ে তৃণমূলের দাবি, কমিশনের উচিত মোদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।

জাতীয় কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা সোমবারই টুইট করে একে বিজেপির রাজনৈতিক ‘দেউলিয়াপনা’ বলেছিলেন। এ দিন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব মোদীকে‘৭২ বছরের জন্যনিষিদ্ধ’ করা উচিত বলে টুইট করেন।

সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও মোদীর সমালোচনা করে বলেন, ‘‘এমন কথা বলে তিনি বিধিভঙ্গ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী কী ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন, কমিশনের তা দেখা উচিত।’’ সব মিলিয়ে বিষয়টি জাতীয় স্তরেবিরোধী ঐক্যের ছবি স্পষ্ট করছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের অভিমত।

সোমবার শ্রীরামপুরের সভায় মোদী ৪০ জন বিধায়কের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন।তার দাবি, ২৩ মে নির্বাচনের ফল ঘোষণা হলে ওই তৃণমূল বিধায়কেরা বিজেপিতে যোগ দেবেন।

এদিন ভদ্রেশ্বরের সভায় মোদীর বক্তব্যকেকটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘‘নির্লজ্জ প্রধানমন্ত্রী। বেচা-কেনা করছেন। হর্স ট্রেডিং করতে এসেছেন। একজনকে জোগাড় করুন। একজনকে কিনে দেখান। আপনার দলের মতো আমার দল চোর নয়।’’

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়কে মমতা গোড়া থেকেই ‘গদ্দার’ বলে উল্লেখ করে আসছেন। এ দিনকারও নাম না করে  মোদীর উদ্দেশে তার হুঁশিয়ারি, ‘‘যে গদ্দারের গলায় হাত বোলাচ্ছেন, সে তো হাওয়ালার মালিক। মামলাও চলছে। অন্য কোনও সরকার হলে এখনই গ্রেফতার করে রেখে দিত। আমি বলে নির্বাচনের সময় কিছু করিনি।’’

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার

এমএইচ/