‘ফনি’ প্রচণ্ড শক্তি সঞ্চয় করে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:০৬ পিএম, ১ মে ২০১৯ বুধবার
ঘূর্ণিঝড় ‘ফেনি’ প্রচণ্ড শক্তি সঞ্চয় করে ধেয়ে আসছে। এই মাসে গরম দেশে গরম থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমানে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে গড়ে দুই থেকে তিন ডিগ্রি বেশি হওয়ায় জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্থানভেদে কোথাও সাত ডিগ্রি পর্যন্ত বেশি গরম অনুভূত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেও বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য যুক্ত হয়েছে বাড়তে উষ্ণতা, । এ ভয়াবহ গরম থেকে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে সুস্পষ্ট লঘুচাপ; যা রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে । ঝড়টির নাম দেয়া হয়েছে ‘ফনি’।
আবহাওয়া বিভাগের (বিএমডি) কর্মকর্তা ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ‘ফেনি’ প্রচণ্ড শক্তি সঞ্চয় করে ৪-৫ মে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। বাংলাদেশে সাধারণত এপ্রিল-মে মাসে গরম একটু বেশিই থাকে। বিশেষ করে এপ্রিলে বেশি গরম কম বৃষ্টি, আর মে মাসে গরম ও বৃষ্টি দুটিই থাকে। কিন্তু এবার হয়েছে তার উল্টো। কয়েক দিন ধরে যে তাপমাত্রা লক্ষ্য করা গেছে, তা মোটেও স্বাভাবিক তাপমাত্রা নয়।
এক্ষেত্রে একটা ভূমিকা রাখছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব । পাশাপাশি রয়েছে এল নিনো মডোকির প্রভাব। তবে আশার খবর হল- বঙ্গোপসাগরে শ্রীলঙ্কার দিকে একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপের রেখা দেখা যাচ্ছে। যা পরিণতি পেলে গরম কমতে পারে। রয়েছে আতঙ্কও, আতঙ্কের দিক হল- এটি ১১৫-১২০ কিলোমিটার বেগে বাতাসসহ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এত আগে এর গতিপথ নির্দিষ্ট করা সম্ভব নয়।
তবে এন্টি ক্লকওয়াইজ পদ্ধতি অর্থাৎ ঘড়ির বিপরীত দিক পদ্ধতির হিসাবে এর গতি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের আরাকানের দিকে মনে হচ্ছে। তবে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) বলছে, ভারতের তামিলনাড়ু থেকে মিয়ানমার পর্যন্ত বিস্তৃত উপকূলে কম-বেশি এর প্রভাব পড়বে। এটি উপকূল অতিক্রম করতে পারে আগামী ৪-৫ মে নাগাদ । এ গরম অব্যাহত থাকতে পারে তার আগে পর্যন্ত ।
সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে । প্রশান্ত মহাসাগরের পানি কিছুদিন ধরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উষ্ণ হচ্ছে। সেখানকার গড় তাপমাত্রা ইতিমধ্যে দশমিক ছাড়িয়েছে ৫ ডিগ্রি । বর্তমানে তৈরি হয়েছে এল নিনো মডোকি পরিস্থিতি । এমনটি হলে সাধারণত প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম উপকূলে খরা বা কম বৃষ্টিপাত হয়। সেই হিসাবে বাংলাদেশে এবার মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম হতে পারে।