ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

ফণীর কারণে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩৩ পিএম, ১ মে ২০১৯ বুধবার

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ ভারতের উপকূলে আঘাত হানার পর কিছুটা দুর্বল হয়ে আগামী ৪ মে (শনিবার) বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। ফলে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবেলা ও ঝালকাঠিবাসীর জানমাল রক্ষার্থে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। আগামী ৩ মে উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানার আশঙ্কায় ৪ মে পর্যন্ত জেলা প্রশাসন, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও ফায়ারকর্মীসহ সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভা কক্ষে দুর্যোগ প্রস্তুতির এক সভায় এ নির্দেশ দেয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক (উপসচিব) মো. দেলোয়ার হোসেন মাতুব্বরের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম, জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপপরিচালক স্বপন কুমার মুখার্জি, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুন্নেছা খানম, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু জর মো. ইজাজুল হক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান, মাছুমা আক্তার, সমাপ্তি রায়, জেলা রেডক্রিসেন্ট ইউনিট ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পান্না, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুর রহমান, জেলা মৎস্য অধিদফতরের খামার ব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, নলছিটি পৌর প্যানেল মেয়র মো. আলমগীর হোসেন আলো, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. সেলিম মিয়া এবং সিভিল সার্জন প্রতিনিধি ও স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা গৌতম কুমার দাস প্রমুখ।

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন মাতুব্বর বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ চট্টগ্রাম থেকে উত্তর পশ্চিম দিকে আঘাত হানতে পারে আগামী শুক্রবার (৩ মে) সকালে। এজন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্বাস্থ্য বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ছুটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ‘ফণী’ ঝালকাঠি জেলায় আঘাত হানলে জান-মালের নিরাপত্তা রক্ষার্থে ৩৪২ মেট্রিক টন চাল এবং ২ হাজার বস্তা শুকনা খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সাইক্লোন শেল্টার, পাকা শিক্ষা ভবন, মসজিদ, মন্দির খুলে আশ্রয় নেয়ার উপযোগী করতে এবং আবহাওয়ার গতিবিধি বুঝে যথাসময়ে মাইকিং ও প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে জনসাধারণকে সতর্ক করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিক যোগাযোগের জন্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (কন্ট্রোল রুম) ০৪৯৮৬২২৩৩ এবং ০১৭০৫৪১১০০৫ নম্বরটি সচল থাকবে বলেও জানান তিনি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দুর্যোগকালীন সময়ে দুষ্কৃতকারীরা যাতে কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে এজন্য পুলিশ সুপার কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (কন্ট্রোল রুম) ০১৭৭১৫৩৫১৭৮, ০৪৯৮৬৩২১০ এবং ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ রইল।

সিভিল সার্জন প্রতিনিধি ও স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা গৌতম কুমার দাস বলেন, জেলার ৩২টি ইউনিয়নে ৩২টি, ৪ উপজেলায় ৪টি এবং সদর হাসপাতালে ১টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। যাতে দুর্যোগকালীন এবং পরবর্তীতে চিকিৎসাসেবা দেয়া যায়।

জেলা রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান তালুকদার বলেন, রেডক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। যথাসময়ে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারব। যুব রেডক্রিসেন্টের মাধ্যমে জনসাধারণকে সচেতন করা হবে।