আমেরিকার হাতে তুলে দেওয়া নিয়ে যুক্তরাজ্য আদালতে অ্যাসাঞ্জ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:৩০ পিএম, ২ মে ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০২:৩১ পিএম, ২ মে ২০১৯ বৃহস্পতিবার
উইকিলিকস’র প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে বৃহস্পতিবার লন্ডনের একটি আদালতে প্রাথমিক শুনানির মুখোমুখী করা হয়েছে। ব্রিটেনের আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় তার ৫০ সপ্তাহের কারাদন্ড হওয়ার একদিন পর তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিতে ওয়াশিংটনের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ শুনানি করা হয়। খবর এএফপি’র।
খবরে বলা হয়, ‘ষড়যন্ত্র’ করে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সেনা গোয়েন্দা বিশ্লেষক চেলসিয়া ম্যানিংয়ের সঙ্গে কাজ করার অভিযোগ থাকায় অ্যাসাঞ্জকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে তাকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের হাতে নিতে চায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গোপন তথ্য ফাঁস করে দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার এ নাগরিক বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সাড়া ফেলেন। ইকুয়েডরের লন্ডন দূতাবাসে দীর্ঘ সাত বছর অবস্থানের পর গত ১১ এপ্রিল সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
২০১০ সালের মার্চে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের বিভিন্ন কম্পিউটারে সংরক্ষিত পাসওয়ার্ড হ্যাক করতে সহায়তা করায় যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগপত্রে তাকে দায়ী করা হয়। অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদন্ড হতে পারে।
ম্যানিং উইকিলিকস’র হাতে লাখ লাখ তথ্য তুলে দেয়। এরফলে ইরাক যুদ্ধে মার্কিন সামরিক বাহিনী করা ভুল কর্মকান্ডের কথা এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে আদান-প্রদান করা কূটনৈতিক গোপন বার্তা প্রকাশ পায়। উইকিলিকস’র প্রধান সম্পাদক ক্রিস্টিন হাফসন বুধবার জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অ্যাসাঞ্জের হস্তান্তর ঠেকাতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো হবে।
তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন,‘এটি হবে একটি জীবন-মৃত্যুর প্রশ্ন।’অ্যাসাঞ্জের সমর্থকরা মনে করে যে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়া হলে তার বিরুদ্ধে আরো গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন অভিযোগ দায়ের করা হতে পারে। ফলে মার্কিন আদালতে অ্যাসাঞ্জকে মৃত্যুদন্ড দেয়ার আশংকা রয়েছে। লন্ডনের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্টের বাইরে হাফসন এসব কথা বলেন। সেখানে ব্রিটেনের এক বিচারক তাদের আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় অ্যাসাঞ্জকে ৫০ সপ্তাহের কারাদন্ড দেন।
সূত্র,বাসস
টিআর/