বরিশাল, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৩০ পিএম, ২ মে ২০১৯ বৃহস্পতিবার
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঘূর্ণিঝড় সুপার সাইক্লোন ফনির আঘাত হানতে পারে এমন জেলার উপ-জেলাসমূহের সব চিকিৎসক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি ও সব ধরনের প্রশিক্ষণ বাতিল ঘোষণা করেছে। এছাড়াও উপকূলীয় অঞ্চলের জেলাগুলো নিয়ে গঠিত বরিশাল, চট্টগ্রাম ও খুলনা এই তিনটি বিভাগের জন্য মোট ২ হাজার ৩৬২টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হযেছে। জরুরি দুর্যোগ মোকাবেলায় এসব টিম কাজ করবে। এর পাশাপাশি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে ১০ হাজার ব্যক্তির জরুরি চিকিৎসা প্রদানের মত প্রয়াজনীয় ওষুধ সম্ভাব্য প্রত্যেকটি বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তার সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব কথা জানানো হয়। বিকেলে অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে এমন জেলার উপ-জেলাসমূহের সব চিকিৎসক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি ও সব ধরনের প্রশিক্ষণ বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা/উপজেলা/প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক জরুরি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে ৩টি, উপজেলা পর্যায়ে ৫টি এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ১টি ‘জরুরি মেডিকেল টিম’ গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বরিশাল বিভাগে ৪৯৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৪৮টি এবং খুলনা বিভাগে ৮১৭টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগে জেলা/উপজেলা ভিত্তিক স্থানীয় নিয়ন্ত্রন কক্ষ/ কন্ট্রোলরুম চালু করা হয়েছে। এ সব কন্ট্রোল রুম সব সময় ‘ন্যাশনাল হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম’ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখবে। সেই সঙ্গে অধিনস্ত পর্যায়ের স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখবে। যোগাযোগের হট নম্বর গুলো হলো- ০১৭৬৯৯৫৪১৩৭, ০১৭৫৯১১৪৪৮৮, ৯৮৫৫৯৩৩।
এই সব দুর্যোগ পূর্ণ বিভাগে জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদানসহ সব প্রকার এন্টিবায়োটিক, ওআরএস সহ পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধের মজুদ রাখা হয়েছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা হতে ১০ হাজার ব্যক্তির জরুরি চিকিৎসা প্রদানের মত প্রয়াজনীয় ওষুধপত্রাদি সম্ভাব্য প্রত্যেকটি বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ‘নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম’ হতে ইতোমধ্যে জরুরি দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য ওষুধ সরঞ্জামাদি জেলা পর্যায়ে প্রেরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ট্যাব এজিথ্রমাইসিন ৫০০ এম জি ৫০০০, পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট ৪,৭৭,৮০০ টি, কলেরা স্যালাইন ১০০০ সিসি সেট ৬০০ ব্যাগসহ অন্যান্য জরুরি ওষুধ মজুদ আছে। এছাড়াও জরুরি রোগী পরিবহনের জন্য এ্যাম্বুলেন্স ও অন্যান্য যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এসএইচ/