ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

রমজানে গুরুত্বপূর্ণ ১০ করণীয় বিষয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:০৫ পিএম, ৩ মে ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ০৩:১৮ পিএম, ৩ মে ২০১৯ শুক্রবার

রমজান মাসে বিশ্বব্যাপী মুসলমানেরা ইসলামিক উপবাস সাওম পালন করে থাকে। রমজান মাসে রোজাপালন ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে তৃতীয়তম। এ মাসে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম ব্যক্তির উপর রোজা পালন করা ফরয তবে অসুস্থ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে তা শিথিল করা হয়েছে।

এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক রমজান মাসে ১০ টি করণীয় বিষয় সম্পর্কে:

১. রোজা পালন করুন। রমজান মাসে রোজা রাখা সুস্থ ও সক্ষম মুসলমানের জন্যে ফরজ। অনেকে মনে করে রোজা পালন করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আসলে রোজা শরীরের জন্যে ক্ষতিকারক তো নয়ই, বরং আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, রোজা রাখলে ‘অটোফেজি’ নামক এক প্রাকৃতিক নিরাময় প্রক্রিয়া দেহে চালু হয় যা দেহকে বিষমুক্ত করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

২. সেহরী ও ইফতারের সময় অস্বাস্থ্যকর ও তেলে-ভাজা বাহুল্য খাবার বর্জন করুন। মাগরিবের আজান দিলে খেজুর খেয়ে পানি পান করুন। নামাজের পর রাতের খাবার খেয়ে নিন।

৩. বিলাসবহুল হোটেল/ রেস্তোরাঁ/ খাদ্যমেলায় ইফতার পার্টিতে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন।  গেলেও ভাজা-পোড়া তৈলাক্ত খাবার কৌশলে বা নীরবে এড়িয়ে যান।

৪. রমজানে টিভি ও মোবাইল স্ক্রিন থেকে যথাসম্ভব দূরে রাখুন। এ সময় আপনি অন্যান্য ইবাদতের পাশাপাশি কোরআন ও হাদিস পাঠের মাধ্যমে সময় অতিবাহিত করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ফজরের নামাজ পড় অথবা ইফতারের আগে অর্থসহ কোরআন পড়তে পারেন।

৫. ইফতারে বাইরে দাওয়াত না থাকলে বাসায় গৃহকর্মী ও অধীনস্থদের নিয়ে পরিবারের সবাই একসঙ্গে ইফতার করুন। ইফতারের ১৫ মিনিট আগে খেজুর-পানি সামনে নিয়ে সবাই মিলে বসুন।

৬. রমজানের প্রথম ১০ দিন দয়া কামনা করে, দ্বিতীয় ১০ দিন ক্ষমা চেয়ে এবং তৃতীয় ১০ দিন পরিত্রাণের জন্যে দোয়া করুন। মহানবী (স) এর সুন্নত হিসেবে তারাবীহ পড়তে সচেষ্ট হোন।

৭. সেহরি শেষে দাঁত ব্রাশ ও ওজু করে নামাজের প্রস্তুতি নিন। শেষ ১০ রমজানের বেজোড় রাত্রিতে ইবাদতে মগ্ন হোন।

৮. অপ্রয়োজনীয় কথা, বিতর্ক, ঝগড়া, উত্তেজনা ও চ্যাঁচামেচি থেকে দূরে থাকুন। অন্যরা করলেও আপনি শান্ত থাকুন। পরচর্চা ও গীবত করবেন না। অন্যরা করলেও অংশ নেবেন না।

৯. রোজা রেখেও রক্ত দেওয়া যায়। তাই একজন মুমূর্ষু ব্যক্তিকে বাঁচাতে রক্ত দিতে পারেন।

১০. এ রমজানকেই মনে করুন আপনার জীবনের শেষ রমজান। আত্মশুদ্ধি ও হক্কুল ইবাদে সাধ্যমতো সর্বোচ্চ প্রয়াস দিয়ে সার্থক করে তুলুন এবারের রমজান।

এমএইচ/