ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘পাক-ভারত যুদ্ধ হলে তাৎক্ষণিকভাবে মারা যাবে ২ কোটি মানুষ’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১৪ এএম, ৪ মে ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ১২:০৯ পিএম, ৪ মে ২০১৯ শনিবার

পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্র।

পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্র।

পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধ হলে তা দ্রুত পরমাণু মহাপ্রলয়ের রূপ নেবে এবং এতে তাৎক্ষণিকভাবে অন্তত দুই কোটি মানুষ মারা যাবে। এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মিরের প্রেসিডেন্ট সর্দার মাসুদ খান।

সম্প্রতি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সেন্টার ফর ইসলাম অ্যান্ড গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স আয়োজিত এক সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে বিরাজমান দীর্ঘস্থায়ী কাশ্মির সংঘাত সমাধান  এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, এ ছাড়া আর কোনও উপায়ই নেই।

কাশ্মির সংঘাত কেবল রাজনীতি, অর্থনীতি এবং ভূ-রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয় বরং এটি একটি মানবিক বেদনাদায়ক ঘটনা বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, কাশ্মির সংকট নিরসনে পাকিস্তান ও ভারতকে জাতিসংঘ এবং আঞ্চলিক শক্তিগুলোর দ্বারস্থ হওয়া উচিত।

এদিকে, চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে পাক সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র নয়াদিল্লিকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, পরমাণু অস্ত্র হলো প্রতিরক্ষা অস্ত্র এবং এ নিয়ে হালকা চালে কথাবার্তা বলা মোটেও উচিত হবে না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এ  কথা বলেন তিনি।

নরেন্দ্র মোদী পাকিস্তানকে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, দিওয়ালি উৎসবের জন্য তার দেশ পরমাণু বোমা বানায় নি। ইসলামাবাদের হুমকিতে নয়াদিল্লি ভয় পাওয়ার নীতিও বাদ দিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

গত মাসে রাজস্থানে এক নির্বাচনী সমাবেশে নরেন্দ্র মোদী এসব কথা বলেছেন। ভারতের ইংরেজি দৈনিক ‘ইন্ডিয়া টুডে’ খবরে বলা হয়েছে, তিনি বলেন, “প্রতিদিন পাকিস্তান বলে আমাদের হাতে পরমাণু বোমা ছোঁড়ার বুতাম রয়েছে। মোদী পাল্টা প্রশ্ন করেন, ভারতের  হাতে তা হলে কী আছে? ভারত কী পরমাণু বোমা দিওয়ালি উৎসবের জন্য তৈরি করেছে?”

তথ্যসূত্র: পার্সটুডে

এমএইচ/