ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

চুয়াডাঙ্গায় বন্ধুকে গলা কেটে হত্যা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:০৫ পিএম, ৪ মে ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০১:০৬ পিএম, ৪ মে ২০১৯ শনিবার

চুয়াডাঙ্গায় প্রেমের বিরোধে আবদুল মোমিন হোসেন (২২) নামে যুবককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর মৃতদেহ গুম করতে নদীতে ফেলেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি ‘ঘাতক’বন্ধু সাফায়েত।

শুক্রবার রাতে পুলিশ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকুন্দবাড়িয়া গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদী থেকে নিহত আবদুল মোমিনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত মোমিন আলোকদিয়া গ্রামের দিলু মন্ডলের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, নিহত মোমিন ও সাফায়েত দুজন ঘনিষ্ট বন্ধু। দিনে রাতে বেশির ভাগ সময়ই তারা দুজন একসাথে চলাফেরা করতো। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর তাদের দুজনকে এক সাথে দেখা গেলেও রাতে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন মোমিন। নিহতের দাদা আসমান আলী বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে নিখোঁজের পর শুক্রবার সকালে মোমিনের রক্তমাখা জুতা মাথাভাঙ্গা নদীর পাড় থেকে উদ্ধার হয়।

সন্ধান জানতে তার বন্ধু সাফায়েতকে জিজ্ঞাসা করা হলে মোমিন ঢাকাতে চলে গেছে বলে আমাদেরকে জানায়। বিষয়টি সন্দেহে হলে আমরা পুলিশকে খবর দিই।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খাঁন বলেন, স্থানীয় জনগণের তথ্যের ভিত্তিতে দুপুরে সন্দেহভাজন সাফায়েতকে আমরা আটক করি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সে তার বন্ধু মোমিন হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদীতে থেকে মোমিনের মৃতদেহ উদ্ধার করে।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক সাফায়েত স্বীকার করেছে গ্রামের এক স্কুলছাত্রীকে দুই বন্ধুর ভালোবাসাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বিবাদ দেখা দেয়। এই বিবাদের কারণে সাফায়েত মোমিনকে খুনের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকাতে যাওয়ার কথা বলে মোমিনকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। এরপর মাথাভাঙ্গা নদীর পাড়ে নিয়ে জবাই করে হত্যার পর গুম করার জন্য মাথাভাঙ্গা নদীতে ফেলে দেওয়া হয় মৃতদেহ।এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।