ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ভারত নাকি কানাডার নাগরিক? মুখ খুললেন অক্ষয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৪৫ পিএম, ৪ মে ২০১৯ শনিবার

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিতে যেতে দেখা গেছে বলিউড তারকাদের। তবে ভোট দিতে যেতে দেখা যায়নি অক্ষয় কুমারকে।

এখবর ছড়িয়ে পড়তেই অক্ষয় কুমারের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। অক্ষয় কুমার কানাডার নাগরিক একথা জানার পর অনেকেই অক্ষয়কে তার নাগরিকত্ব নিয়ে খোঁচা দিতে শুরু করেন।

এমনকি, সম্প্রতি, মুম্বাইয়ে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে তাকে এক সাংবাদিক তার ভোট না দেওয়ার কারণ জানতে চান।

সেসময় অক্ষয় তাকে ‘চলুন চলুন’ করে প্রশ্ন এড়িয়ে যান। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই অক্ষয়কে তার নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রোল করেন অনেকেই।

এবার নিজের নাগরিকত্ব নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললেন অক্ষয়। অভিনেতা লেখেন,‘আমার নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে অনেকেই খারাপ কথা বলছেন।

আমি তো আমার নাগরিকত্বর বিষয় কোনওদিনই লুকিয়ে রাখিনি। আমার কাছে কানাডার পাসপোর্ট রয়েছে, সেকথা যেমন আমি কোনওদিনই লুকিয়ে রাখি নি, তেমন এটা সত্যি, আমি গত ৭ বছরে কখনও কানাডা যাইও নি।

আমি আমার দেশের হয়ে কাজ করেছি। আমি আমার সমস্ত কর জমা দিয়েছি। তাই আমার দেশপ্রেম নিয়ে নতুন করে কারোর কাছে কোনও প্রমাণ দেওয়ার কিছু নেই। তাই যখন আমার নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্ক তৈরি করা হয় তখন খারাপ লাগে।

এটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়, অরাজনৈতিক বিষয়। আমি এভাবেই দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে দেশকে দিনে দিনে আরও শক্তিশালী করে তুলতে চাই।’

প্রসঙ্গত, মুম্বাইতে নির্বাচনের দিন অক্ষয়কে ভোট দিতে দেখা না গেলেও তাঁর স্ত্রী টুইঙ্কেল খান্নাকে অবশ্য ভোট দিতে যেতে দেখা যায়। এদিকে গত দুবছর আগেই এক সংবাদ সংস্থার স্টুডিও বসে তাঁকে কানাডার সাম্মানিক নাগরিকত্ব প্রদানের কথা জানিয়েছিলেন অক্ষয় কুমার।

এদিকে কানাডা সরকারের তরফে সাম্মানিক নাগরিকত্ব প্রদানের যে তালিকা সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে গোটা বিশ্বের ৫জন নেতার নাম রয়েছে। তবে তার মধ্যে অক্ষয়ের নাম নেই।

পাশাপাশি জানা যাচ্ছে সাম্মানিক নাগরিকত্ব পাওয়া কানাডার কোনও নাগরিক সেদেশের পাসপোর্ট, কিংবা সে দেশে কোনও আইনি সুবিধা পেতে পারেন না।

এদিকে ভ্যানকুভার অবজারভারের দেওয়া তথ্য অনুসারে অক্ষয় কানাডার নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদ করেছিলেন এবং তার কয়েক সপ্তাহর মধ্যেই তার আবেদন মঞ্জুর করা হয়।

তাই এক্ষেত্রে অক্ষয়ের আগের দাবি ও বর্তমান দাবি নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কারণ, দুবছর আগে অক্ষয় দাবি করেছিলেন, তিনি কানাডার সাম্মানিক নাগরিকত্ব পেয়েছেন, আবার তিনি এখন দাবি করছেন তার কানাডার পাসপোর্ট রয়েছে।

তথ্যসূত্র: জি নিউজ

এমএইচ/