অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়া বিআরটিএ (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৫৩ পিএম, ৪ মে ২০১৯ শনিবার
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি, বিআরটিসির কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অনুসন্ধানেও বেরিয়ে এসেছে অনিয়মের নানা চিত্র। গাড়ির ফিটনেস, লাইসেন্স, ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে গেলো ভোগান্তির বিস্তর অভিযোগ সেবা নিতে আসা মানুষদের। আছে দালালের দৌরাত্ম্য। দালালদের টাকা না দিয়ে কোনো কাজই হয় না।
কার্ড-- ২৮শে এপ্রিল রাত আটটা। বিআরটিএ মিরপুর অফিস। লেখা আসবে...
ক্যামেরা ছাড়া গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন রুমে দালালে ঘেরা কর্মকর্তারা।
বিআরটিএ মিরপুর অফিসের হিসাবরক্ষক রুহুল আমিন ব্যস্ত এক দালালের সাথে কথা বলায়। তার টেবিলে গিয়েও পাওয়া গেলো আর এক দালালকে। হাতে অনেকগুলো লাইসেন্স এর কাগজপত্র।
দালালের সাথে কী এমন কথা? এ প্রশ্নের কোনো উত্তর খুজে পেলেন না। রুমের অন্যপাশে যে কর্মকর্তা আছেন তার টেবিলেও অসংখ্য ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কাগজ। কিন্তু এত রাতে তিনি অফিসে কেন?
মিরপুর বিআরটিএ তিন তলার অফিস সহকারি নারায়ন চন্দ্র গোস্বামী রাত আটটায় খুবই ব্যস্ত। ক্যামেরা দেখেই শুরু হয় নানা টালবাহানা।
সুনির্দষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অনসন্ধানী টিমের যাত্রা এক দালালের বাসায়। ঘরে ঢুকতেই বাধা। ক্যামের বন্ধের জন্য চাপ।
তার হাতেই কয়েশ পাশ করা ড্রাইভিং কার্ড। এতগুলো কার্ড তার বাসায় কেন? কারা, কত টাকার বিনিময়ে করেন- জানা গেলো আলির কাছ থেকেই।
ভোগান্তির শিকার হতে হয় ইকুরিয়া বিআরটিএ কার্যালয়েও। এখানেও নানা অসংগতি। আনসার থেকে শুরু করে প্রতিটি সদস্য টাকা ছাড়া কোনো কাজই করেন না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
জোয়ারসাহারা কার্যালয়ের চিত্রও একইরকম। টাকা তুলছেন দালালরা। প্রশ্ন করলে আমাদের ওপর চড়াও হন এ দালাল।
বিআরটিএতে দুর্নীতি ও ভোগান্তির বিষয়ে কথা হয় টিআইবির নির্বাহী পরিচালকের সাথে। তিনি বলেন, কর্মকর্তাদের যোগসাজস ছাড়া দুর্নীতি সম্ভব নয়।
সেবা মূলক প্রতিষ্ঠানটি গেলো দুই বছরে তিন হাজার কোটি টাকা জাতীয় রাজস্বে জমা দিলেও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি খুব একটা কমেনি। তবে মানুষের অভিযোগের বিষয়ে একাধিক বার ঘুরেও বিআরটিএ চেয়রম্যান ও মুখপাত্রের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সেবামূলক প্রতিষ্ঠানটি মানুষের ভোগান্তি লাঘবে দাললদের দৌরত্ব্য বন্ধসহ অনিয়ম দুর্নীতিমুক্ত হবে- এ প্রত্যাশা সবার।