ফণীর তাণ্ডবে ওড়িশায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৫৮ এএম, ৫ মে ২০১৯ রবিবার
ঘূর্ণিঝড় ফণীর তাণ্ডবে ভারতের ওড়িশার ১২টি জেলায় অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আরও অন্তত শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেই দেশের রাজ্য সরকার। তবে হতাহতের চেয়ে ক্ষয়ক্ষতিই বেশি। লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে রাজ্যটির বিস্তীর্ণ এলাকা। প্লাবিত বহু নিচু এলাকা। ভুবনেশ্বর, কটক, জাজপুর, ভদ্রকে উড়ে গেছে বহু ঘরের চাল, তছনছ হয়েছে কাঁচা ঘরবাড়ি, উপড়ে পড়েছে কয়েক হাজার গাছ, ভেঙে গেছে মোবাইল টাওয়ার। এতে গোটা দেশ থেকে একরকম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে রাজ্যটি।
সে দেশের রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১১ লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেয়ায় ব্যাপক প্রাণহানি এড়িয়েছে। ওড়িশার অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সুরেশ মহাপাত্র বলেন, ‘এই ঝড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়েছেন বলে ধারণা। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এখনও সঠিক সংখ্যা জানতে পারিনি।’
তিনি জানান, পুরী ও ভুবনেশ্বরে টেলিকম নেটওয়ার্ক একেবারে বির্পযস্ত। সেই নেটওয়ার্ক চালু হতে সময় লাগবে। কোন কোন এলাকায় বেশি ক্ষতি হয়েছে তা এখনও বোঝার চেষ্টা করছি।
ওড়িশা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, সড়কে গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি, বিলবোর্ড ইত্যাদি পড়ে থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শনিবার সকাল থেকেই আমরা কাজ শুরু করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি ও গাছপালা সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে রেল লাইনেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেগুলোও মেরামত করা হচ্ছে। আশা করছি শিগগিরই যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে।
জানা গেছে, ফণীতে বিভিন্ন স্থানে রেল লাইন উপড়ে গেছে। এ কারণে ওড়িশা থেকে কোনো দূরপাল্লার ট্রেন চলছে না। এছাড়া বন্ধ রয়েছে দক্ষিণ ভারতগামী অধিকাংশ ট্রেন। বিধ্বস্ত অবস্থা ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরেরও। জায়গায় জায়গায় ভেঙে গেছে শেড। চুরমার হয়ে গেছে বিমানবন্দরের কাচের জানালা।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যাচ্ছেন সোমবার ওড়িশায় যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রোববার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক টুইটে বলেন, ‘ওড়িশার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবার ওই রাজ্যে যাব। পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে।’
শুক্রবার সকালে ওড়িশায় তাণ্ডব চালিয়ে ফণী এগোতে থাকে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। শুক্রবার মধ্যরাতে পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানে ফণী। ঘণ্টায় প্রায় ৯০ কিলোমিটার বেগে খড়গপুরে শক্তিশালী ঝড় হিসেবেই আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়টি।
এমবি/ টিআর/