ভারতজুড়ে চৌকিদার চোর হ্যায়
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:০৬ পিএম, ৫ মে ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ০৮:১৬ পিএম, ৫ মে ২০১৯ রবিবার
ভারতের লোকসভা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। তাদের নির্বাচন নিয়ে নেতারা একে-অপরের বিরুদ্ধে নানা ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন। এক দল আরেক দলকে আক্রমণ করে বক্তব্য দিয়েই যাচ্ছেন। নির্বাচনের আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে চৌকিদার চোর হ্যায় বক্তব্য নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি। চৌকিদার চোর হ্যায় নিয়ে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত পৌঁছায়। এ নিয়ে আদালত পরে নির্দেশনাও দেয়।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের কাছে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস দলের স্লোগান করা হয় চৌকিদার চোর হ্যায়। আর এটা নিয়ে বিজেপির এক নেতা আদালতে মামলা করেন। আর সেখানেই আদালতে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস সভাপতি ক্ষমা প্রার্থনা বেচে যান।
সুপ্রিম কোর্টে রায় নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি রাফায়েল নথি নিয়ে একটি রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ‘চুরি হওয়া’ রাফায়েল নথি বিচার প্রক্রিয়ায় গ্রাহ্য করা হবে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে রাহুল জানান, ‘সুপ্রিম কোর্টও স্পষ্ট করেন চৌকিদার চোর’। রাহুলের মন্তব্য আদালত অবমাননার সামিল বলে অভিযোগ করে বিজেপি। সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন বিজেপি সাংসদ মিনাক্ষী লেখি।
এরপর রাহুলের মন্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের নোটিশে দুঃখ প্রকাশ করেন রাহুল। কিন্তু তার সাফাই, ভোটের উত্তপ্ত প্রচারের মুহূর্তে এ ধরনের মন্তব্য করে ফেলেন তিনি।
যার জন্য দুঃখিত বলে দাবি করেছেন। যদিও, রাহুলের নতি স্বীকারে মন গলেনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের। হলফনামা দিয়ে তার মন্তব্যের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
সেই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার হলফনামা জমা দিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। জানিয়ে দিলেন আদামী ৬ মে সুপ্রিম কোর্টে অতিরিক্তি হলফনামা জমা দিয়ে ক্ষমা চাইবেন তিনি৷
শনিবার, কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের ওপরে নিজের একটি মন্তব্য চাপিয়ে দিয়েছিলাম। তার জন্য আমি ক্ষমা চেয়েছি। কিন্তু মোদীজি বা বিজেপির কাছে কোনও ক্ষমা প্রার্থনা করিনি। ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’-ই আমাদের স্লোগান।’’
দিল্লীর মসনদ থেকে মোদি হঠাতে রাফায়েল দুর্নীতিতে হাতিয়ার করেছে কংগ্রেস৷ প্রচার থেকে সর্বত্র, সরব হাত শিবিরের প্রধান রাহুল গান্ধী৷ সেই রাফায়েল ইস্যুতেই বিতর্কিত মন্তব্য করে আদালতের কোপে তিনি৷
এর আগে তৃর্ণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, নরেন্দ্র মোদি চৌকিদার চোর। তার এই বক্তব্যের সমালোচনা কম হয়নি। আবার এমনও গুঞ্জন শোনা গেছে, নরেন্দ্র মোদির জনসভায়, নরেন্দ্র মোদি যখন বলছেন, ম্যা হু চৌকিদার। জনতার মধ্য থেকে আওয়াজ এসেছে ম্যা হু চোর। এরকম বক্তব্য স্যোসাল মিডিয়ার কল্যানে ছড়িয়ে পড়ে।
তাই এখন দেখা যাচ্ছে ভারতজুড়ে চৌকিদার চোর হ্যায়। আর এই বক্তব্যের কারণেই ভারেতে নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা বেড়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। অনেকেই বলছেন হীতে বিপরীত হয়েছে। তার এই বক্তব্যের কারণেই নির্বাচনে এবার বড় ধরনের জয় পেতে পারে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি জোট।
এসএইচ/