ফের লাইফসাপোর্টে এটিএম
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:৫৫ পিএম, ৬ মে ২০১৯ সোমবার
শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়ে ফের লাইফসাপোর্টে বর্ষীয়ান অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান।
সোমবার এটিএম শামসুজ্জামানের স্ত্রী রুনি জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আজ সকালে হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এর পর চিকিৎসকরা দ্রুত তাকে লাইফসাপোর্ট দেন।
এ বিষয়ে এটিএম শামসুজ্জামানের মেয়ে কোয়েল আহমেদ বলেন, অস্ত্রোপচারের পর বাবা সেরে উঠছিলেন। আজ সকালে আবার তার শরীরটা খারাপের দিকে যায়। শরীরে ঠিকমতো অক্সিজেন পাচ্ছে না। তাই চিকিৎসকরা সকাল ১০টার দিকে বাবাকে লাইফসাপোর্ট দেন। সবাই বাবার জন্য দোয়া করবেন।
রাজধানীর গেণ্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন এটিএম শামসুজ্জামান।
তার চিকিৎসার তত্ত্বাবধানকারী ডা. রবিউল আলীম জানান, এটিএমের অবস্থার উন্নতি হওয়ায় গত শুক্রবার তার লাইফসাপোর্ট খুলে নেয়া হয়।
এরআগে গত ৩০ এপ্রিল মলত্যাগজনিত সমস্যার কারণে এটিএম শামসুজ্জামানকে লাইফসাপোর্টে নেয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে এটিএম শামসুজ্জামান জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। প্রথম চিত্রনাট্যকার হিসেবে তিনি কাজ করেছেন ‘জলছবি’ সিনেমায়। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন বর্ষীয়ান এ অভিনেতা।
তবে ১৯৬৫ সালে অভিনেতা হিসেবে এটিএম শামসুজ্জামানের সিনেমায় অভিষেক ঘটে। ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ সিনেমায় খলনায়ক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। সিনেমার পাশাপাশি অসংখ্য খণ্ড নাটক ও ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি।
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য এ অভিনেতার একমাত্র পরিচালিত সিনেমা ‘এবাদত’। এখন পর্যন্ত পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এ কিংবদন্তি। কাজী হায়াতের ‘দায়ী কে’ সিনেমার জন্য দুটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান তিনি। এরপর ‘চুড়িওয়ালা’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’ এবং ‘চোরাবালি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য একই পুরস্কার লাভ করেন এটিএম শামসুজ্জামান।