ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

এ টি এম শামসুজ্জামানের শারীরিক অবস্থার অবনতি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৪ এএম, ৭ মে ২০১৯ মঙ্গলবার

ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। সোমবার সকালে তাকে আবারও লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তিনি অধ্যাপক রাকিব উদ্দিনের অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন।

এই বিশিষ্ট অভিনেতা গত ২৬ এপ্রিল রাতে আকস্মিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত ৩ মে তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলে লাইফ সার্পোট খুলে নেওয়া হয়। কিন্তু সোমবার সকালে ফের তাকে লাইফ সার্পোট দেওয়া হয়। তিনি এখন  নিবিড় পর্যবেক্ষণ’ (আইসিইউ) আছেন।

এটিএম শামসুজ্জামান বাংলা চলচ্চিত্রের এক কিংবদন্তীতুল্য অভিনেতার নাম। কখনও কমেডি, কখনও খলনায়ক বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। তার অসাধারণ অভিনয় দক্ষতার কারণে পেয়েছেন তারকা খ্যাতি।

রূপালী পর্দার দর্শককে কখনও হাসিয়েছেন, কখনও আবার কাঁদিয়েছেন সাবলীল অভিনয় শৈলী দিয়ে। পাঁচ পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত এই অভিনেতা পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদকও।

তিনি শুধু একজন অভিনেতাই নন, তিনি পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপ রচয়িতা ও গল্পকার।

উল্লেখ্য, ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমাতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজের মাধ্যমে তার রুপালী জগতের পদচারণা শুরু হয় তার। এরপর ১৯৬৫ সালে অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রে আসেন এটিএম শামসুজ্জামান। ‘জলছবি’তে প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্যকারের কাজ করেছেন। শতাধীক চিত্রনাট্যের কাহিনী লিখেছেন এই অভিনেতা। প্রথম দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রে প্রবেশ করলেও ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমনি’ চলচ্চিত্রে খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে দশর্কের কাছে পরিচিতি পান তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই গুনী অভিনয় শিল্পীকে। টেলিছবি, নাটকসহ রূপালি পর্দার নানা শাখায় স্বগৌরবে বিচরণ করেছেন তিনি। গত ২৬ এপ্রিল মুক্তিপ্রাপ্ত নাসির উদ্দিনের পরিচালিত ‘আলফা’ চলচ্চিত্র তিনি সর্বশেষ অভিনয় করেন।

১৯৪১ সালে নোয়াখালি জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। অধ্যয়ন করেছেন ঢাকার পগোজ স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল, রাজশাহীর লোকনাথ হাই স্কুলে। ময়মনসিংহ সিটি কলেজিয়েট হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করে উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হন জগন্নাথ কলেজে। বাবা নুরুজ্জামান ও মা নুরুন্নেসা বেগমের আট ছেলে মেয়ের মধ্যে শামসুজ্জামান সবার বড়।

এমএস/কেআই