ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

আদর্শ শিক্ষক কেফায়েত উল্লাহ স্যার

মো: কামাল উদ্দিন

প্রকাশিত : ০২:৩৮ পিএম, ৯ মে ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১২:০২ পিএম, ১৬ মে ২০১৯ বৃহস্পতিবার

আমরা সকলে শিক্ষক চিনি। যারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পড়ান বা অন্য কোন অনানুষ্ঠানিক ভাবেও যদি শিক্ষার্থীদের পাঠদান করান তাঁদেরকে আমরা শিক্ষক বলে থাকি। ধরে নেয়া হয় যে যেকোন শিক্ষিত মানুষই শিক্ষক হতে পারেন, শিক্ষা দেয়া অত্যন্ত সহজ কাজ। তথাকথিত শিক্ষিতরাই শিক্ষক হতে পারেন, এটাই স্বাভাবিক যা আমাদের সমাজেও বিদ্ধমান।

অনেকের ধারণা শিক্ষক হওয়া ও শিক্ষকতা করা সহজ, তবে কেতাবি ভাষায় অনেকেই আবার স্বীকারও করেন যে, শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। আমি একজন সুনির্দিষ্ট আদর্শ শিক্ষককে নিয়ে লিখতে গিয়ে তিনি কিভাবে একজন আদর্শ শিক্ষক ও শিক্ষাবিদ হলেন। আদর্শ শিক্ষক ও শিক্ষাবিদ ধারণাগুলো বিশ্লেষণ করে আমাদের শ্রদ্ধেয় কেফায়েত উল্লাহ স্যারকে নিয়ে লেখার চেষ্টা করবো।

আমাদের ধারণা মতে যিনি পড়ান তিনি শিক্ষক আর শিক্ষকতা শুধু একটি চাকুরী। যারা শিক্ষকতাকে একটি চাকুরী হিসেবে দেখেন সেখানেই বিপদ। তাঁদের কাছে ক্লাসরুমে গতানুগতিক পাঠদান করেই তাদের দায়িত্ব শেষ করেন। সত্যি কথা বলতে কি এ রকম শিক্ষকের সংখ্যাই আমাদের সমাজে অনেক বেশি। তাই এটা নিঃসন্দেহে বলা চলে যে, একজন শিক্ষক হওয়া আমাদের দেশে খুব সহজ হলেও একজন আদর্শ শিক্ষক হওয়া অত্যন্ত কঠিন। বাংলায় একটি বহুল প্রচলিত প্রবাদ আছে “গুরু মিলে বুরে বুরে আদর্শ গুরু মিলে কপালের জোরে”। আমাদের সেই রকমই কপালের জোরে আমরা একজন আদর্শ শিক্ষক পেয়েছিলাম তিনিই হলেন আমাদের শ্রদ্ধেয় কেফায়েত স্যার। কেফায়েত স্যারকে আমরা পেয়েছি একজন আদর্শ শিক্ষক ও শিক্ষাবিদ হিসেবে। এ ধরনের শিক্ষক পাওয়া সত্যিই কপালের ব্যাপার। 

একজন আদর্শ শিক্ষককে এক বাক্যে সংজ্ঞায়িত করা খুবুই কঠিন, তবে সাধারণভাবে আদর্শ শিক্ষক হলো উনিই যাঁকে তাঁর শিক্ষার্থীরা চিরকালের জন্য স্বরণ রাখে। আদর্শ শিক্ষকের তাঁর ছাত্র-ছাত্রীর জীবনের উপর প্রভাব হলো অতি দীর্ঘ। ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে মহিমা তৈরি ও একজন আদর্শ মানুষ হতে তাদের অনুপ্রাণিত করেন। আমাদের শ্রদ্ধেয় কেফায়েত উল্লাহ স্যার ঐ রকমই একজন আদর্শ শিক্ষক ছিলেন। একজন সাধারণ শিক্ষক একটি নির্দিষ্ট বৃত্তের মধ্যে চিন্তা করেন কিন্তু কেফায়েত স্যার ছিলেন এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ আলাদা। তিনি ছিলেন সর্বদা “ Out of the box thinker”.।

ক্লাসরুমে আদর্শ শিক্ষকগণ অন্যদের তুলনায় আলাদা থাকেন। শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ, পাঠ্যবইই নয় কিন্তু তার সাথে বাস্তবতার সম্মিলন ঘটিয়ে প্রকৃত জ্ঞান প্রদান করাই হচ্ছে আদর্শ শিক্ষকের কাজ। সাধারণত আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় টেকনিক্যাল রাইটনেসের প্রতি গুরুত্ব প্রদান হয়- যেমন যে সকল বিষয় কেউ না কেউ সত্য বলে গেছেন যেমন দুই+দুই=চার। দুই এ দুই চার এটি টেকনিক্যালি রাইট কিন্তু একজন আদর্শ শিক্ষক অজানাকে জানার জন্য শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করে। শুধু টেকনিক্যাল রাইটনেস নয় প্র্যাকটিক্যাল রাইটনেসের প্রতিও গুরুত্ব আরোপ করেন। মরহুম কেফায়েত স্যার ঐ রকম একজন আদর্শ শিক্ষক ছিলেন যিনি ছাত্রদের টেকনিক্যাল ও প্র্যাকটিক্যাল উভয় ন্যায্যতার প্রতি নজর দিতেন।

ইতিবাচক আচরণ শিক্ষকের অন্যতম বৈশিষ্ট, শিক্ষার্থীদের প্রনোদনার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করা। শিক্ষক শুধু নিজেই ইতিবাচক হবেন না তাঁর ছাত্র-ছাত্রীদের ইতিবাচক আচরণ শিখাবেন। আমাদের কেফায়েত স্যারকে আমি প্রথমে অত্যন্ত একজন রাগী মানুষ হিসেবে মনে করলেও স্যার ছিলেন খুবই কোমল হৃদয়ের অধিকারী। তাঁর ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে তিনি একজন ইতিবাচক শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষার্থীদের অন্যতম আশ্রয়স্থল ছিলেন আমাদের এই প্রিয় শিক্ষক। 

মহান শিক্ষক বা আদর্শ শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পিতা-মাতার সাথে তাদের সন্তাদের অবস্থান বর্ণনা করবেন। পিতা-মাতাকে সন্তানদের পড়াশুনার অগ্রগতি ও অন্যান্য অবস্থা অবগত করবেন। আমাদের অঞ্চলের অধিকাংশ পিতা-মাতা অসচেতন থাকার কারণে আমাদের কেফায়েত স্যার নিজেই তাঁর ছাত্র-ছাত্রীদের অভিবাবকের ভূমিকা পালন করতেন। তিনি শুধু অভিবাবকই ছিলেন না তিনি ছিলেন তার চেয়েও বেশি, শিক্ষার্থীদের পড়ানোর পাশাপাশি তাদের সাথে তাঁর ছিল এক অন্যরকম সখ্যতা। নিজের জীবন ও পরিবারের চেয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতি তাঁর গুরুত্ব ছিল অসীম। শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রেরণা যোগানোই ছিল তাঁর কাজ। কথায় আছে ÒThe mediocre teacher tells. The good teacher explains. The superior teacher demonstrates. The great teacher inspires”.।

স্যার ছিলেন প্রত্যেক ছাত্রের কাছে আলাদা। ছাত্রের অবস্থা, ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড, পড়াশুনার মনোযোগীতা ইত্যাদি বিষয়ের উপর নির্ভর করে ছাত্র ভেদে তিনি আলাদা আলাদা সম্পর্ক স্থাপন করতেন। স্যারকে নিয়ে লিখতে গিয়ে বিশে^র সর্বকনিষ্ঠ Nobel laureate মালালা ইউসুফযাই এর একটি উক্তি মনে পড়ে গেল। আর সেই উক্তির মাঝেই আমাদের প্রিয় শিক্ষককে খুঁজে পাই “One child, one teacher, one book, one pen can change the world.”। তিনি অন্যকে আলো বিতরনের জন্য নিজে জলতেন, অন্যকে আলোকিত করতেন। “A good teacher like a candle – It consumes itself to light the way for others”.| 

স্যার ছিলেন আমাদের স্যার সৈয়দ আহমদ- আমরা প্রায় সকলেই স্যার সৈয়দ আহমদ খাঁনের নাম শুনেছি। তিনি বৃটিশ ভারতে মুসলিম নবজাগরণে মহান ভূমিকা পালন করেন। স্যার সৈয়দ আহমদ আরবী, বাংলা, সংস্কৃতি এর পাশাপাশি ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন। বিলেতে অধ্যায়ন শেষে দেশে ফিরে পিছিয়ে পড়া মুসলিম সমাজের সংস্কারের মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। যেরকম হিন্দু সমাজ সংস্কারে রাজা রাম মোহন রায়, ইশ^র চন্দ্র বিদ্যা সাগর ও রবিন্দ্র নাথ ঠাকুর ভূমিকা পালন করেন। স্যার সৈয়দ আহমদ মুসলিম সমাজের পিছিয়ে পড়ার পিছনে সনাতন শিক্ষা ব্যবস্থাকে দায়ী করে মুসলমানদের ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধি করেন। তিনি প্রতিষ্ঠ করেন মোহামেডান ওরিয়্যান্টাল কলেজ। তৎকালীন মুসলিম সমাজের একাংশ স্যার সৈয়দ আহমদের এই উদ্যোগকে গ্রহণ না করে তারা গতানুগতিক শিক্ষা অব্যাহত রাখেন। তখন যদি স্যার সৈয়দ আহমদ মুসলিম শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের মাধ্যমে মুসলিম পুনর্জাগরণ না করতেন বৃটিশ ভারতের রাজনীতিতে কোনভাবে মুসলিমদের অংশগ্রহণ থাকতো না, বঙ্গভঙ্গ, মুসলীম লীগ, ঢাকা বিশ্ববদ্যালয় পরবর্তীতে ভাষা আন্দোলন ও আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলন বেগবান হতো না। কেফায়েত উল্লাহ স্যার ছিলেন আমাদের সুবর্ণচরের স্যার সৈয়দ আহমদ। তিনি মাদ্রাসায় অধ্যায়ন করেও চিন্তা চেতনায় অত্যন্ত ভিন্নধর্মী ছিলেন। গতানুগতিক চিন্তার বাহিরে এসে আমাদের সুবর্ণচরের শিক্ষা ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন এক আলোক বর্তিকা। গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য তিনি ছিলেন আশার আলো। চন্দ্রকলি শিক্ষা সম্প্রসারন, রেড ক্রিসেন্ট ও সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা প্রতিষ্ঠায়ও তাঁর ভূমিকা ছিল অনন্য।

এ জন্য তিনি যেমন বাহবা পেয়েছেন এবং হয়ে উঠেছেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও সমাজ হিতোষীদের নয়নের মণি। অন্যদিকে এক শ্রেণির মানুষ তাঁকে নিয়েও সমালোচনা করতে দিধা করেননি। মাদ্রাসায় শিক্ষিত হয়ে স্যার সৈয়দ আহমদের মতো সমাজ থেকে গতানুগতিক কুসংস্কার ও সমাজকে একটি নির্দিষ্ট বৃত্তের বাহিরে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি কিছু সমালোচনার স্বীকার হলেও আজ আমরা তাঁকে সত্যিকার অর্থে উপলদ্ধি করতে পেরেছি। এক কথায় তিনি ছিলেন আমাদের স্যার সৈয়দ আহমদ।এ প্রসঙ্গে মনিষী এ্যারিস্টলের একটি উক্তি মনে পড়ে গেল- শিক্ষা সম্পর্কে এ্যরিস্টল বলেন “শিক্ষার শেকড়গুলো খুব তিতা কিন্তু ফল মিষ্টি”। আধুনিক শিক্ষা ছাড়া যে সমাজ পরিবর্তন করা যায়না তা ভালোভাবে বুঝে ছিলেন আমাদের কেফায়েত স্যার। তাঁর কাছে শিক্ষার্থীরা ছিল শুকনো কাঠের মতো, আর শুকনো কাঠ হচ্ছে আগুন কিন্তু শুকনো কাঠ নিজে নিজে জ¦লেনা কেউ না কেউ তাতে আগুন জ্বালিয়ে দিতে হয়।

আর একবার আগুন জ্বালালে তা জ¦লতে থাকে, নেভেনা। আমাদের কেফায়েত স্যার সুবর্ণচরের অসংখ্য শুকনো কাঠে আগুন জ্বালিয়েছেন, তার ছাত্র-ছাত্রীরা জ¦লে ওঠেছে, প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ও হচ্ছে। স্যার যে আগুন জ্বালিয়েছিলেন তা আজ আলো ছড়াচ্ছে। কারণ শিক্ষার আলোই হচ্ছে পৃথীবির সবচেয়ে শক্তিশালী আলো। নোবেল বিজয়ী Nelson Mandela বলেছেন “Education is the powerful weapon which you can use to change the world”

আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে যে, অশিক্ষিত মানুষ হল সমাজের আগাছা। শিক্ষার মাধ্যমে এ আগাছা পরিষ্কার হয়, আমরা সমাজে শুধু আগাছা পরিষ্কারের দায়িত্ব নিয়েছি। আমরা গতানুগতিক শিক্ষার মাধ্যমে সমাজে বা জঙ্গলে শুধু আগাছাই পরিষ্কার করে একটি খালি মাঠে রূপান্তর করছি। একটি শুধু খালি মাঠের চেয়ে কিন্তু আগাছা অনেক ভালো, পরিবেশ ঠিক রাখে- জীব বৈচিত্রের উপকারী। বাস্তবে আসল শিক্ষা মানে শুধু আগাছা পরিষ্কার নয়, আগাছা পরিষ্কারের পর সেখানে ভালো চাষাবাদ করতে হবে। মনীষি Lewis বলেছেন- Ò The task of the modern education is not just cut down jungles but to irrigate desert. আমাদের কেফায়েত স্যারের মতো শিক্ষকরা শুধু জঙ্গল পরিষ্কারে ব্যস্ত ছিলেননা, সেখানে ভালো ফসল ফলানোই ছিল তাঁদের কাজ।

কেফায়েত স্যার শুধু শিক্ষা দিতেন না তিনি শিক্ষার্থীকে স্বপ্ন দেখাতেন। তিনি ছিলেন একাধারে একজন শিক্ষাবিদ ও ড্রিমার। একজন শিক্ষকের মৌলিক কাজই হচ্ছে তাঁর ছাত্র-ছাত্রীদেরকে স্বপ্ন দেখানো। আমাদের সমাজে অনেক শিক্ষক রয়েছেন তারা শুধু ভালো ছাত্রদের শিক্ষক। শিক্ষকতার মৌলিক চ্যালেঞ্জ হচ্ছে খারাপ ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষক হওয়া। কেফায়েত স্যার একাধারে ভালো ও খারাপ ছাত্রদের শিক্ষক ছিলেন। তুলনামূলক পিছিয়ে পড়া ও ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য তিনি স্পেশাল যতœ নিতেন। তাদের অনুপ্রেরণা যোগাতেন, তাদের নতুন স্বপ্ন নির্মাণ করতেন। প্রসঙ্গক্রমে আমাদের একজন শিক্ষাগুরু বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট এ.পি.জে আবুল কালামের একটা উক্তি মনে পড়লো যা আমি সবসময় লালন করার চেষ্টা করি। তিনি বলেন- Ò Teacher don’t teach to earn living- teacher teach for they see a million dreams in the eyes of student they teach, teachers teach for they want to see there million dreams come true someday, teacher teach for they want those dreams to make lives of us and yours better Ó যারা শুধু অর্থ উপার্জন, জীবন ধারন করার জন্য শিক্ষকতাকে একটি চাকুরী হিসেবে গ্রহণ করে তাদের দ্বারা শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দেখা সম্ভব নয়। আমি সবসময় একটি কথা বলে থাকি, আমাদের সমাজে দুই কারণে শিক্ষকতাকে আমরা পেশা হিসেবে গ্রহণ করি প্রথমত- Teaching by choice এবং দ্বিতীয়ত- Teaching by choice । যারা শিক্ষকতা করেন পছন্দ করে তারাই শিক্ষার্থীকে স্বপ্ন দেখাবেন এবং শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দেখবেন, শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দেখাবেন। শিক্ষার্থীদের অনুপ্রানিত করতে পারাই হচ্ছে শিক্ষার্থীদের নতুন জীবন দেয়া, কারণ ÒA word of encouragement from a teacher to a child can change a life. A word of encouragement from a spouse can save a marriage. A word of encouragement from a leader can inspire a person to reach her potential”

সর্বশেষ কেফায়েত স্যার ছিলেন আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক, আমরা তাঁকে ভালোবাসি। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। তাঁর স্বপ্নগুলো লালন ও পালন করি, তাঁর যে স্বপ্ন তিনি তাঁর জীবদ্বসায় বাস্তবায়ন করতে পারেননি তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করি এবং শেষ করছি এই বলে- “Kefayet sir was our greatest teacher, a teacher of compassion, love and fearlessness of love is sweet as a flower, then our Kefayet sir was that sweet flower of love”.

অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যাল চট্টগ্রাম।