যে ওষুধ সেবনে রোজা ভাঙে না
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:০৯ পিএম, ৯ মে ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:৫৮ এএম, ১১ মে ২০১৯ শনিবার
শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। সিয়াম সাধনার মাস। এ মাসে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম ব্যক্তির উপর সাওম পালন ফরয। তবে বিভিন্ন রোগের কারণে অনেকেই রোজা পালন করা সম্ভব হয় না। ইসলামিক চিন্তাবিদ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বসম্মতিক্রমে এমন কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেন যাতে অসুস্থ ব্যক্তি রোজা রাখা অবস্থায় নিম্নলিখিত ব্যবস্থাপত্র নিলে এবং প্রয়োজনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করালে রোজা ভঙ্গ হবে না। এমন অনেক ওষুধ রয়েছে যা সেবনে রোজা ভাঙে না।
♦ রোজা রাখা অবস্থায় চোখ, কান ও নাকে ড্রপ নেওয়া যাবে।
♦ নাকে স্প্রে বা হাঁপানি রোগীর ইনহেলার জাতীয় কিছু নিলে কোনো সমস্যা নেই।
♦ বুকে ব্যথা হলে নাইট্রোগ্লিসারিন স্প্রে বা ট্যাবলেট জিহ্বার নিচে নেয়া যাবে।
♦ নারীদের তলপেটে পরীক্ষার জন্য যোনিপথ দিয়ে চিকিৎসক বা সেবিকার হাতের আঙুল বা কোনো ডিভাইস প্রবেশ করালে রোজা ভাঙবে না। এমনকি চিকিৎসার জন্য যোনিপথে পেসারি বা কোনো ওষুধ ব্যবহার করা যাবে।
♦ জরায়ু পরীক্ষার জন্য হিস্টেরোস্কপি করা যাবে, এমনকি জরায়ুতে কোনো যন্ত্রপাতি বা অন্য কিছু পরীক্ষার জন্য প্রবেশ করালে রোজায় কোনো সমস্যা হবে না।
♦ রোগীর পায়ুপথে ইনজেকশন অথবা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আঙুল বা অন্য কোনো যন্ত্র প্রবেশ করালে রোজা ভাঙবে না।
♦ রোগীর চামড়া, মাংস, অস্থিসন্ধি ও শিরায় ইনজেকশন দেওয়া যাবে। কিন্তু স্যালাইন, ডেক্সট্রোজ, প্রোটিনজাতীয় ওষুধ ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না।
♦ কোনো রোগী অজ্ঞানকারী গ্যাস (এনেসথেসিয়া) নিলে রোজা ভঙ্গ হবে না।
♦ চামড়ার মাধ্যমে শরীরের ভেতরে যায় এমন মলম, ক্রিম, অয়েন্টমেন্ট ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে।
♦ রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য এন্ডোস্কপি করলে রোজা ভাঙবে না।
♦ মুখ পরিষ্কারের জন্য মাউথ ওয়াশ বা গড়গড়া বা মুখে স্প্রেজাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যাবে, তবে যেন পাকস্থলীতে কোনো কিছু না যায়।
♦ পাকস্থলী পরীক্ষার জন্য গ্যাস্ট্রোস্কপি করা যাবে, কিন্তু তরল প্রবেশ করানো যাবে না।
লেখক : সাবেক ডিন, মেডিসিন অনুষদ
সাবেক চেয়ারম্যান, মেডিসিন বিভাগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়।
মন্তব্য