ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় ইয়াঙ্গুনে বিমান দুর্ঘটনা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৩৬ পিএম, ১০ মে ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ০৮:৫৫ পিএম, ১০ মে ২০১৯ শুক্রবার

বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে অবতরণ করতে গিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। এ সময় বিমানটিতে থাকা পাইলট, ক্রুসহ ৩৫ যাত্রীর মধ্যে ১৯ যাত্রী আহত হন। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে ইয়াঙ্গুনে চিকিৎসাধীন ১৮ জনের মধ্যে চারজনকে বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।

আহতদের ফিরিয়ে আনতে শুক্রবার ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে একটি বিশেষ ফ্লাইট ইয়াঙ্গুনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে বলে জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ। মিয়ানমারে বিমান দুর্ঘটনায় আহত ১২ জন চিকিৎসকের পরামর্শে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক। তবে এদের মধ্যে ৫ জন হুইলচেয়ারে ও ৭ জনকে বিশেষ মেডিকেল সাপোর্টসহ স্ট্রেচারে করে আনতে হবে।

প্রত্যক্ষদর্শী চিকিৎসকের বর্ণনায় দুর্ঘটনার মুহূর্ত:

বিমানের ওই ফ্লাইটটিতে থাকা আহত যাত্রীদের একজন ডা. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। যিনি এ দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারাত্বক ভাবে আহত হয়েছেন এবং তার কোমরের হাড় ভেঙ্গে গেছে বলে জানিয়েছেন।

মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে মুঠোফোনে একুশে টিভিকে তিনি বলেন, ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরে বিমানটি যখন নামতে যাচ্ছিলো। চাকাগুলো অলরেডি নামিয়ে দেয়া হয়েছিলো। ঠিক ওই মুহূর্তেই প্রচন্ড ঝড়, বৃষ্টি এবং বাতাস শুরু হলো। তখন পাইলট তাড়াতাড়ি চাকাটা উঠিয়ে নিয়ে ৫ হাজার ফিট উপরে চলে গেল। তখন অবস্থাটা ছিল খুবই ভয়ংকর।

ডা. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ওই সময়ের অবস্থাটা এমন ছিলো যে, হঠাৎ করেই বিমান সাঁই সাঁই করে উপরে উঠে যাচ্ছিলো, আবার হঠাৎ করে নিচে নেমে যাচ্ছিলো। অনেক্ষণ এ রকম করার পর একটা সময় নিরাপদ জায়গা পাওয়া গেল। তারপর ইয়াঙ্গুনে ৪ থেকে ৫ টা চক্কর দেওয়ার পর যখন উপযুক্ত একটা জায়গা পেল, তখন রানওয়েতে খুবই সফলভাবে নেমে গেল।

তিনি বলেন, রানওয়েতে বিমানটা নামার পর ১০ সেকেন্ডের মতো সেখানে চলছিলো। এরপর হঠাৎ করে বিকট একটা শব্দ হলো এবং বিমানটা সামনের দিকে ডেবে গেল। তারপর ছিটকে রানওয়েতে পড়ে গেল। আমরা দেখলাম মুহূর্তেই বিমানের সব ভেঙেচুরে একদম একাকার হয়ে পুড়ে গেল। আমিসহ অনেকেই মারাত্বক আহত হয়েছি। আমার কোমরের হাড়টা ভেঙ্গে গেছে। তখন চরম ব্যাথা পাচ্ছিলাম, আর কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। তখন ওরা খব দ্রুতই দরজাটা খুলে দেয়, আমরা কষ্ট করে বের হয়ে আসি। পরে ওখান থেকে আমাদের খুব দ্রুতই সরিয়ে নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ অব ফ্লাইট সেফটি ও সিনিয়র ক্যাপ্টেন শোয়েব চৌধুরীকে প্রধান করে ৬ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

টিআই/এসি