ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

সাইফের সঙ্গে কারিনাকে দেখে কষ্ট পেয়েছিলেন শাহিদ?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০৬ এএম, ১১ মে ২০১৯ শনিবার

একসময় বি-টাউনে শাহিদ-কারিনার প্রেমে বহু চর্চিত বিষয় ছিল। একে  অপরের প্রেমে হাবুডুবু খেতেন শাহিদ-কারিনা। একে অপরের প্রতি ভালোবাসার কথা কোনও দিনই লুকনোর চেষ্টা করেননি কেউ। এমনকি শাহিদের জন্য মাছ-মাংস ছেড়ে নিরামিষাশীও হয়ে গিয়েছিলেন ‘ফুডি’ করিনা।

খুব শীঘ্রই বিয়ে করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন। তবে হঠাৎই তাদের সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। ‘জব উই মেট’-এর শ্যুটিং চলাকালীনই একে অপরের জীবন থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে তাদের মধ্যে ঠিক কী নিয়ে সমস্য তৈরি হয়েছিল তা নিয়ে অবশ্য মুখে কুলুপ এটেঁছিলেন দুজনেই।

যদিও শাহিদ-কারিনার সম্পর্ক ভাঙার পিছনে শোনা যায় অনেক কথাই। কেউ বলেন সহ অভিনেত্রী অমৃতা রাওয়ের সঙ্গে শাহিদের ঘনিষ্ঠতা মেনে নিতে পারেননি কারিনা। অন্যদিকে কারিনার অত্যাধিক ধরে-বেঁধে রাখা পছন্দ হচ্ছিল না শাহিদের। শাহিদ-কারিনার এই দূরত্বের ফাঁকে ঢুকে পড়েছিলেন সাইফ আলি খান। এইরকমই তাদের সম্পর্ক ভাঙার কারণ হিসাহে শোনা যায় অনেক কথাই।

যদিও বর্তমানে শাহিদ ও কারিনা দুজনেই তাদের ব্যক্তিগত জীবনে অনেক সুখী। শাহিদ জমিয়ে সংসার করছেন মীরা রাজপুত ও তাদের দুই সন্তানের সঙ্গে। আবার কারিনাও সইফ ও তাদের সন্তান তৈমুরকে নিয়ে ভীষণ খুশি। সে যাই হোক সম্পর্ক ভাঙার পর `প্রক্তন` কারিনাকে সইফের সঙ্গে দেখে কি কষ্ট পেয়েছিলেন শাহিদ?

সম্প্রতি শাহিদের দেওয়া পুরনো একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে শাহিদকে বলতে শোনা গিয়েছে, `` আমি যদি বলি আমার কিছুই যায় আসেনি, তাহলে মিথ্যা বলা হবে। আদতে আমিও তো মানুষ। কারিনাকে সাইফের সঙ্গে দেখে বা এধরনের খবরে আমারও কষ্ট হয়েছিল।

যদিও তখন আমার কিছু করার ছিল না। আমাকে বাস্তবের সঙ্গে মানিয়ে নিতেই হতো। এর মুখোমুখি হতেই হতো। আমি শুধুই ভালো স্মৃতিগুলোই মনে রাখতি পারি এবং ভালো থাকার চেষ্টা করতে পারি।

আরও একটি সাক্ষাৎকারে শাহিদ জানিয়েছিলেন, ‘ টানা একটি মাস ভীষণ কষ্টের মধ্যে কেটেছিল। আমার কাছে দুটোই অপশন ছিল। এসব থেকে বেরিয়ে আসা। আর মিডিয়ার সামনে এসব নিয়ে কোনও কথা না বলা। এসমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে আমার যে কষ্ট হতো সেটা এড়িয়ে চলার জন্য শুধুমাত্র সিনেমার (জব উই মেট) প্রচারে মন দেওয়া। যখন এটা ঘটেছিল তার তিন সপ্তাহের মধ্যে ছবিটি (জব উই মেট) মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।’

বিচ্ছেদের অনেক পরে গিয়ে করিনাক সঙ্গে ‘উড়তা পঞ্জাব’ ছবিতে অভিনয় করা প্রসঙ্গে শাহিদ বলেন, ‘সবকিছু ভুলে এই ছবিতে কাজ করা আমার প্রয়োজন ছিল বলে আমার মনে হয়েছে। কারণ ছবিতে ( উড়তা পঞ্জাব) আমার চরিত্রটা ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আবারও কারিনার সঙ্গে কাজ করা ভীষণই অস্বস্তিকর ছিল। তবে অভিনয়টা আমার পেশা সেটা মেনে নিয়েই কাজ করি।’

তথ্যসূত্র: জি নিউজ

এমএইচ/