বিমান হামলার পর ‘একমাত্র জীবিত’ শিশু
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৩৭ এএম, ১১ মে ২০১৯ শনিবার
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের বিদ্রোহী অধ্যূষিত এলাকার একটি শহরে আসাদ সমর্থিত বাহিনীর বিমান হামলার পর একটি পরিবারের ‘একমাত্র’ জীবিত সদস্য ছিল দুই বছর বয়সী একটি শিশু। শিশুটির পরিবারের বাকি সব সদস্য বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন।
আট বছরের সিরিয়া যুদ্ধের পর ইদলিব এবং হামা এলাকার কয়েকটি অঞ্চলই জিহাদি ও বিদ্রোহীদের শেষ ঘাঁটি হিসেবে রয়ে গেছে। সে সব এলাকায় সিরিয় ও রুশ সেনাবাহিনী বিমান হামলা জোরদার করেছে।
ওই এলাকার একটি গ্রামে চালানো সবশেষ বিমান হামলায় ৩০ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন এবং আরও ৪০ জন আহত হয়েছেন বলে খবরে বলা হচ্ছে। বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে একজন দুই বছর বয়সী খাদিজা-আল-হামদান।
খাদিজার পরিবার তাদের গ্রাম থেকে পালিয়ে এসে ওই এলাকায় বাস করছিল। তারা একটি মুরগির খামারের দেখাশোনা করতো এবং ওই খামারের ভেতরেই থাকতো।
খাদিজার দাদা নিশ্চিত করেন যে বিমান হামলায় খাদিজা বাদে তার ছেলের পরিবারের বাকি সবাই মারা গেছে।
‘আমার ছেলে, তার স্ত্রী এবং আরও দুই সন্তানের সবাই মারা গেছে। তাদের দেহ আমরা হাসপাতাল থেকে নিয়ে এসেছি। খাদিজাই একমাত্র জীবিত সদস্য’, বলেন খাদিজার দাদা।
সিরিয়া ভিত্তিক জিহাদি গ্রুপ হায়াত তাহরির আল-শামস ‘লোহা এবং আগুন’এর মাধ্যমে এই বিমান হামলার জবাব দেবে বলে হুমকি দিয়েছে।
সিরিয়ায় যুদ্ধ
সেখানে যুদ্ধ থামছে না। এখন সিরিয়ার ইদলিবে হাসপাতাল, স্কুল লক্ষ্য করে হামলা করা হচ্ছে বলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ বেশিরভাগ সদস্য অভিযোগ করেছে। তবে রাশিয়া ও চীন তা সমর্থন করে না।
এই যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে। তখন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু হয় সিরিয়ার দক্ষিণের শহর ‘ডেরা’য়।
বিক্ষোভ শুরুর অনেক আগে থেকেই কর্মসংস্থানের অভাব, দুর্নীতির মত নানা কারণে অস্থিরতা বিরাজ করছিল সিরিয়ায়।
এই বিক্ষোভকে ‘বিদেশি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ’ আখ্যা দেন প্রেসিডেন্ট আসাদ। বিক্ষোভ দমন করতে আসাদ সরকারের বাহিনী অভিযান চালায় বিক্ষোভকারীদের ওপর।
এই আন্দোলন বিরোধী অভিযান ছড়িয়ে পরলে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের জন্য আন্দোলন শুরু হয় পুরো দেশে।
পুরো দেশে দ্রুত অস্থিরতা ছড়িয়ে পরে, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের অভিযানও জোরদার হয়।
বিদ্রোহীরা শুরুতে নিজেদের জীবন রক্ষার্থে অস্ত্রধারণ করে। পরে তারা একত্রিত হয়ে নিজেদের এলাকার সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয় সিরিয়ায়।
সূত্র: বিবিসি
একে//