হৃদরোগীদের জন্য রোজা বেশ উপকারী
অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ :
প্রকাশিত : ১১:১৯ এএম, ১১ মে ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ১১:৫৮ এএম, ১১ মে ২০১৯ শনিবার
মুমিন জীন্দেগীর জন্য পরম সওগাত নিয়ে মাহে রমজান আমাদের সামনে হাজির। শত ত্যাগ, তিতিক্ষা, ক্ষয়, অবক্ষয় ও আত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ ধুলির ধরায় প্রতিবছরে একবার মুমিন জীবনে মাহে রমজানের আগমন ঘটে আত্মশুদ্ধি, সংযম, সাধনা, সাম্য, সহানুভূতি ও আল্লাহ ভীতির উদাত্ত আহ্বান নিয়ে। বিশ্ব মুসলিমের জন্য অফুরন্ত রহমত, মাগফিরাত ও দোযখ থেকে মুক্তির পয়গাম নিয়ে রমজানুল মোবারকের আগমন ঘটে।
এমাসে প্রতিটি মুসলিম নর-নারী রোজা পালন করবে একা স্বাভাবিক। তবে বিভিন্ন রোগের কারণে অনেকেই রোজা রাখতে পারে না। এর মধ্যে অন্যতম হলো হৃদরোগ। তবে একটু সর্তক ও সচেতন হলে হৃদরোগীরা রমজানে রোজা রাখতে পারবে।
হৃদরোগীদের চিকিৎসার হাতিয়ার হিসেবে আমরা চিকিৎসকগণ অনেক ধরনের মেডিসিন ব্যবহার করে থাকি। রোজা রাখার ফলে যদি আমরা বিবেচনা করি যে এসব মেডিসিন গ্রহণের যে বিচ্যুতি হবে, তাতে রোগীর অসুস্থতা বৃদ্ধি পাবে। তাই সঠিক নিয়ম মেনে হৃদরোগীরা রোজা রাখতে পারবে। জটিল বা ঝুঁকিপূর্ণ হৃদরোগী ছাড়া অন্য হৃদরোগীদের জন্য রোজা বেশ উপকারী। এ সময় বেশ নিয়ম মেনে চলা হয় বলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেই থাকে।
♦রক্তচাপের রোগী, যাঁদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে তাঁদের রোজা রাখতে বাধা নেই; বরং উপকারী। তবে খাওয়াদাওয়ায় লবণ, তেল-চর্বিযুক্ত বা ভাজাপোড়া খাবার কম খেতে হবে।
♦ রান্না করা ছোলার পরিবর্তে ভেজানো কাঁচা ছোলা, পেঁয়াজ, মরিচ, আদা দিয়ে খেতে পারলে ভালো, পেটের জন্যও উপকারী। এর ভিটামিন, মিনারেলস, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, পটাসিয়াম রক্তচাপ বা হার্টের জন্য ভালো। আবার সর বাদ দিয়ে দই বা টক দই খেলে ফ্যাটের মাত্রাও কমিয়ে দেয়, এতে থাকা ব্যাকটেরিয়াগুলোও উপকারী।
♦ আনকন্ট্রোল্ড অ্যানজাইনা বা নিয়মিত বুকের ব্যথা থাকে যাঁদের, তাঁদের তিন বেলা ওষুধ খেতে হয় বলে রোজা না রাখাই উচিত।
♦ হার্টের রোগীদের রোজা রাখা অবস্থায় যদি খুব বেশি খারাপ অনুভব হয়, তবে দ্রুত রোজা ভেঙে ওষুধ খাওয়া উচিত
লেখক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন।