আল্লাহর সিদ্ধান্তে কেন সন্তুষ্ট থাকবো
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৪২ এএম, ১১ মে ২০১৯ শনিবার
মানুষ কাজকর্মে নামার আগে ইস্তিখারা (পরামর্শ চাওয়া) করে নেয়। তারপর একটা কিছু বেছে নেওয়ার পর উপকার না দেখতে পেলে রাগান্বিত হয়ে পড়ে। এর প্রতিকার হলো- অন্তরে এই বিশ্বাসকে পোক্ত করা যে, মানুষের জ্ঞান কেবল বস্তু-বিষয়ের বাহ্যিক অবস্থার উপরই আবদ্ধ। পক্ষান্তরে আল্লাহতায়ালা প্রতিটি জিনিসের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ সকল অবস্থা সম্পর্কে অবগত। সুতরাং আল্লাহর নির্বাচন তার নিজের নির্বাচন থেকে অবশ্যই শ্রেয় হবে।
বান্দা নিজ বুদ্ধিতে যা নির্বাচন করে তা শঙ্কামুক্ত থাকে না। কারণ সে নিজেই আল্লাহর দ্বারা পরিচালিত হয়। সে অন্যকে পরিচালনা করতে পারে না এবং যা কিছু ঘটার সিদ্ধান্ত হয়ে আছে তার ক্রোধ সেটা পরিবর্তন করতে পারবে না। তাই তার কর্তব্য হচ্ছে নিজের জন্য আল্লাহর সিদ্ধান্তের প্রতি সর্বদা সন্তুষ্ট থাকাকে আবশ্যক করে নেওয়া। এতেই সে সুখী হবে।
পাপের জন্য অনুতপ্ত : কোন পাপে জড়িয়ে পড়লে অথবা পদস্খলন ঘটলে তা থেকে চোখ বুজে রাখা মানুষের মন্দ স্বভাব। এটি দূর করার জন্য ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই দেরি না করে তওবা করা এবং সেই ভুল সংশোধন করে নেয়া হচ্ছে কর্তব্য। যাতে করে সেই ভুল এবং এই জাতীয় অন্যান্য ভুল করতে মন অভ্যস্ত হয়ে না পড়ে।
আবদুল্লাহ বিন উমর (র.) বলেন- আমি আবু উসমান বলতে শুনেছি, ‘অধিকাংশ আত্মশুদ্ধি-প্রত্যাশীদের সমস্যা হলো, তারা সংঘটিত হওয়া ভুল এবং পদস্খলনের ব্যাপারে চোখ বন্ধ করে থাকে। তারা তৎক্ষণাৎ এর প্রতিকারের পথে অগ্রসর হয় না। ফলে তাদের অন্তর সেই ধরনের ভুল করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। আর একারণেই একসময় তার আত্মশুদ্ধির ইচ্ছা ব্যর্থতায় পর্যবসতি হয়।
তথ্যসূত্র : আবূ আবদুর রহমান আস-সুলামী, অনুবাদ: আবদুল্লাহ আল মাসউদ, আত্মশুদ্ধি গ্রন্থ
এএইচ/