ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

রোজার যত সম্মান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৫ এএম, ১১ মে ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০১:১৩ পিএম, ১১ মে ২০১৯ শনিবার

হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিবছর রমজানের আগমন উপলক্ষে বেহেশতকে সুসজ্জিত করা হয়, রমজান মাসের প্রথম রাত আসলেই আরশের নিচ থেকে ‘মুছীরা’ (উদ্দীপক) নামক একটা বাতাস প্রবাহিত হয়। এ বাতাসে বেহেশতের গাছের পাতা ও দরজার কড়াগুলো নড়ে উঠে। এতে এমন একটা সুরেলা শব্দ হয় যে এমন সুন্দর শব্দ আর কেউ কখনো শোনেনি। এ শব্দ শুনে বেহেশতে লাজ-নম্র হুরগণ বেরিয়ে আসবে এবং বেহেশতের ব্যালকনিতে এসে দাঁড়াবে। অতঃপর তারা বলতে থাকবে আল্লাহর কাছে প্রস্তাবদানকারী কেউ আছে কি? যেন তিনি তাঁকে বিয়ে করিয়ে দেন? তারপর এই আনতনয়া হুরেরা বলবে, ‘হে জান্নাতের ব্যবস্থাপক রিদওয়ান এ রাতটা কোন রাত?’ রিদওয়ান তাদেরকে জবাব দেবেন, ‘এ হচ্ছে রমজান মাসের প্রথম রাত। আজ মুহাম্মদ (সাঃ) এর উম্মতের রোযাদারদের জন্য বেহেশতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। আর আল্লাহতায়ালা বলবেন: ‘হে রিদওয়ান, বেহেশতের দরজাগুলো খুলে দাও। আর হে মালেক জাহান্নামের দরজাগুলো উম্মতে মোহাম্মদীর রোযাদারদের জন্য বন্ধ করে দাও। আর হে জিবরাঈল, পৃথিবীতে নেমে যাও। খোদাদ্রোহী উচ্ছৃঙ্খল শয়তানদেরকে আটক কর ও শেকল পড়াও। অতঃপর তাদেরকে সমুদ্রে ফেলে দাও। যেন তারা আমার বন্ধু মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতের রোযার ক্ষতি করতে না পারে।’

রমজানের প্রত্যেক রাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে একজন ঘোষক ঘোষণা করে, ‘কেউ কি প্রার্থনাকারী আছে? আমি তার প্রার্থনার জিনিস দিতে প্রস্তুত। কেউ কি তওবাকারী আছে? আমি তার তওবা কবুল করতে প্রস্তুত। কেউ কি ক্ষমাপ্রার্থী আছে? আমি তাকে ক্ষমা করতে প্রস্তুত। যে সত্তা অভাবী নয় বরং ধনবান এবং অত্যাচারী নয় বরং পরিশোধকারী (অর্থাৎ আল্লাহ) তাকে ঋণ দেবে? (অর্থাৎ আল্লাহর পথে কে বেশি করে দান করবে।)’

রমজানের প্রতিদিন ইফতারের সময় আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে এমন হাজার হাজার ব্যক্তি দোযখ থেকে মুক্তি পাবে, যাদের জন্য দোযখ অবধারিত হয়ে গিয়েছিল। রমজানের শেষ দিন যখন সমাগত হবে, তখন আল্লাহতায়ালা রমজানের প্রথম দিন থেকে শেষ দিনের পূর্ব পর্যন্ত যত লোককে দোযখ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন ততো লোককে মুক্তি দিবেন।

কদরের রাতকে করেছেন হাজার রাতের থেকেও উত্তম। আল্লাহ এই রাতে মুহাম্মদ (সা.) এর উম্মতের সব প্রয়োজনের দিকে দৃষ্টি দেন এবং ক্ষমাশীল হন।

ঈদুল ফিতরের দিন সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে আমার বান্দারা, তোমরা আমার কাছে চাও। আমার সম্মান ও প্রতাপের শপথ, আজ তোমরা তোমাদের আখেরাতের সঞ্চয়ের জন্য যা কিছু চাইবে তা আমি দিব। আর দুনিয়ার জন্য যা কিছু চাইবে তা আমি বিবেচনা করব।’

তথ্যসূত্র : মাওলানা হারুনুর রশিদের রমজানে করণীয় ও বর্জনীয় গ্রন্থ

এএইচ/