ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

কিডনি রোগীদের রোজা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০২ এএম, ১৩ মে ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ১১:১০ এএম, ১৬ মে ২০১৯ বৃহস্পতিবার

রোজা প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম নর-নারীর জন্য ফরজ ইবাদত। রোজা রাখা নিয়ে অনেক রোগীরাই দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে। তবে রোজার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিলে এবং সে অনুযায়ী চললে সুস্থভাবে  রোজা রাখা যায়।

দীর্ঘমেয়াদি কিনডি রোগে আক্রান্ত রোগীদের রোজার প্রস্তুতির নিয়ে সার্বিক পরার্মশ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের  সাবেক ডিন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ।

কিডনি রোগ

যারা দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগী, যাদের কিডনি বিকল হয়ে পঞ্চম ধাপে আছেন, যাদের নিয়মিত ডায়ালিসিস করতে হচ্ছে, যাদের মূত্রতন্ত্রের প্রদাহের চিকিৎসা চলছে, আকস্মিক কিডনি বিকল রোগীদের মধ্যে যারা কিডনির কোনো জরুরি অপারেশন করাতে হচ্ছে, তারা। তাছাড়া দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগীদের যদি রক্তের উপাদানে কোনো জটিলতা দেখা দিয়েছে, যাদের ডায়ালিসিস বা উচ্চ রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত আছে, তাদের এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে রোজা রাখতে পারবে।

কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি রোজা রাখার ক্ষেত্রেও কিছু পরামর্শ।

♦ কিডনি রোগে আক্রান্তরা রোজা রাখতে পারবেন না এমন কথা নেই। তবে আকস্মিক কিডনি রোগে আক্রান্তদের রোজা রাখা উচিত নয়। রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় হওয়ার পর রোজা রাখা যাবে।

♦ রক্তের ক্রিয়েটিনিন ৩০ শতাংশ বেড়ে গেলে, পটাসিয়াম বেড়ে গেলে রোজা রাখা ঠিক হবে না।

♦ কারো যদি সিরাম পটাসিয়াম ৪.৫-এর বেশি থাকে, তাহলে খেজুর, শুকনো ফলমূল, বাদাম, চা, কফি, চিজ, ফলের জুস ইত্যাদি খাওয়া ঠিক হবে না। আবার কারো পটাসিয়াম যদি ৪.৫-এর নিচে থাকে তাহলে পরিমিত ফলমূল খাওয়া যাবে। তবে পানি পানের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।

♦ যাঁদের কিডনি ফেইলিওরের মাত্রা শেষ পর্যায়ে, তাঁদের পক্ষে রোজা রাখা সম্ভব নয়।

♦ ডায়ালিসিস রোগী বাদে অন্যদের একটু বেশি পানি পান করা ভালো। বিশেষত পাথরজনিত রোগে যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা রমজানে অবশ্যই বেশি পানি পান করবেন।

♦ডায়ালিসিস রোগীরা প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার বেশি খাবেন। এ ছাড়া খেতে হবে ফাইবার, সালাদ, সবজি, রুটি, ভাত ইত্যাদি। তবে লবণ, পটাসিয়াম ও ফসফেটযুক্ত খাবার, ভাজাপোড়া ও তৈলাক্ত এবং টিনজাত খাবার বর্জন করতে হবে।

লেখক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের  সাবেক ডিন।

টিআর/