ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

দান কিভাবে ও কোথায় করব

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১৯ পিএম, ১৩ মে ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ১২:২৪ পিএম, ১৩ মে ২০১৯ সোমবার

আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এবং সওয়াবের আশায় রমজানে আমরা বেশি বেশি ইবাদত বন্দেগি করে থাকি। নিজেকে সব রকম অশ্লীলতা থেকে দূরে রাখি। এর পাশাপাশি দানের পরিমাণও বাড়িয়ে দেই। আমরা বিচ্ছিন্নভাবে দান করে থাকি। দানের বিষয়ে আমরা কিভাবে ও কোথায় করব তার সঠিক পন্থা আমাদের জানা দরকার।

আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের উৎকৃষ্টতম উপার্জন থেকে (আল্লাহর পথে ) ব্যয় কর।’ (বাকারা ২৬৭)

এ আয়াত থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, দানকৃত বস্তুটি হতে হবে হালাল। কারণ হারাম বা অবৈধ সম্পদ থেকে কেউ সওয়াবের আশায় দান করে তাতে দানকারীর সওয়াবের পরিবর্তে গুণাহ হবে।

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার পবিত্র উপার্জন থেকে একটি খেজুর পরিমাণ বস্তু (আল্লাহর পথে) দান করে আর আল্লাহ পবিত্র বস্তু ব্যতীত কবুল করেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা তা তার কুদরতি দক্ষিণ হস্ত দ্বারা গ্রহণ করেন। যেমনিভাবে তোমাদের কেউ তার ঘোড়ার ছোট বাচ্চাকে লালন-পালন কর। এতদূর পর্যন্ত যে, তা (এ দানের সওয়াব) পাহাড় সমান হয়ে যায়।’ (বুখারী ও মুসলিম)।

আল্লাহর পথে ব্যয় দ্বারা যা বোঝায় তা হলো বিশেষত হজ, যাকাত, জিহাদ, ফকির-মিসকিন, বিধবা, এতিম, দুস্থ ইত্যাদি পথে ব্যয় করা।

রাসূলে করীম ইরশাদ করেন, ‘নিঃস্ব (এতিম) ও বিধবা নারীদের সহযোগিতায় আত্মনিয়োগকারী ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর ন্যায়, যে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ওই ইবাদতকারীর ন্যায় যে ক্লান্ত হয় না এবং ওই রোজা পালনকারীর ন্যায় যে ইফতার করে না।’ (অর্থাৎ সারাবছর রোজা পালন করে।)

সমাজের অনেক ধর্মপ্রাণ হজ ও যাকাতকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে কিন্তু এতিম-অসহায়দের বিষয়ে উদাসীন। তাই আসুন আমরা সবাই হালাল রোজগার দিয়ে এতিম-অসহায় ও বিধবাদের বেশি বেশি দান করি। যারা অর্থবান তারা এই দানের পাশাপাশি হজ করবো ও যাকাত দিব।

এএইচ/