প্রবাসীদের সহায়তায় আইওএম’র দুই লাখ ডলার অনুদান
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৩৬ পিএম, ১৩ মে ২০১৯ সোমবার
বিদেশ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ফেরা বাংলাদেশিদের আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ড টেকসই করতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নীতি ও কর্মসূচি প্রণয়নে সহায়তা দিতে দুই লাখ মার্কিন ডলার অনুদান দিচ্ছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। এর মাধ্যমে একটি প্লাটফর্ম তৈরি করা হবে। যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করা হবে, তাদের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে।
সোমবার (১৩ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুলতানা আফরোজ এবং আইওএমের পক্ষ থেকে ডেপুটি চিফ ও মিশন শ্যারন ডিমানচে এ প্রকল্প দলিলে সই করেন।
‘বাংলাদেশ: ডেবট মেডিয়েশন ফর রিটার্নিং মাইগ্র্যান্টস’ শিরোনামের প্রকল্পটি ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের মার্চের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।
চুক্তি সই সূত্র জানায়, বাংলাদেশ থেকে প্রায়ই কিছু সংখ্যক অভিবাসন প্রত্যাশী মানুষ অনিয়মিত চ্যানেলের মাধ্যমে বিদেশে পাড়ি দিয়ে থাকেন। যা ঝুঁকিপূর্ণ ও অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ। গরিব অভিবাসন প্রত্যাশী মানুষ সাধারণত স্থানীয় মহাজন শ্রেণীর লোকের কাছ থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে দালালের মাধ্যমে বিদেশে যান। গন্তব্য দেশে যাওয়ার পর বিভিন্ন আইনি জটিলতায় পড়ে অনেক সময় এসব লোক নিঃস্ব হয়ে দেশে ফিরে আসেন এবং সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে মহাজনের ঋণ পরিশোধ করতে ব্যস্ত থাকেন। ফলে তাদের পরিবারকে আরও দরিদ্র ও সামাজিক দূরবস্থার মধ্যে পড়তে হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আইওএম আলোচ্য ‘বাংলাদেশ: ডেবট মেডিয়েশন ফর রিটার্নিং মাইগ্র্যান্টস’ শীর্ষক প্রকল্প প্রস্তাব করে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিদেশ থেকে ফেরত ঋণগ্রস্ত অভিবাসীদের ওপর সমীক্ষা পরিচালনা করে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তাদের প্রমাণনির্ভর নীতি নির্ধারণের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় নীতি ও কর্মসূচি প্রণয়নের সহায়তা দেওয়া হবে। যা ফেরত আসা অভিবাসীদের আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডে টেকসইভিত্তিতে অন্তর্ভুক্ত করতে সহায়ক হবে।
অতিরিক্ত সচিব সুলতানা আফরোজ বলেন, এটা একটা পাইলট প্রকল্প। এই প্রকল্পে গবেষণা করাটা মূল জিনিস। অভিবাসীরা ফেরত আসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে। প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের সহায়তা করা হবে।
আরকে//