কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদে বিজেপির লোক: মমতা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:১৬ এএম, ১৪ মে ২০১৯ মঙ্গলবার
কলকাতার বর্তমান পুলিশ কমিশনারকে বিজেপির ‘নিজের লোক’ বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার অভিযোগ, হাওয়ালার মাধ্যমে রাজ্যে যে ভোটের টাকা ঢুকছে, নির্বাচন কমিশনের বসানো এখনকার সিপি তা ধরার কাজ করছেন না।
মমতা মনে করেন, ‘আগের পুলিশ কমিশনার (রাজীব কুমার) দায়িত্বে থাকলে এই টাকা ধরতেন। আজকে দমদম এয়ারপোর্টে যে হেলিকপ্টার আসছে, প্রাইভেট জেট আসছে, চার্টার্ড ফ্লাইট আসছে, সব টাকা নিয়ে আসছে। এ গুলো দেখবে কে?
যে দেখবে (বিধাননগর পুলিশ কমিশনারের এলাকা) তাকে তো বদলি করে দিয়েছে। যে দেখবে না, নিজেদের ইচ্ছে মতো নিরাপত্তা দেবে, তেমনই দু’ জনকে বসানো হয়েছে। কলকাতা এবং বিধাননগর, এ দু’টোই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল।’’
নির্বাচনী বিধি চালু হওয়ার পর রাজ্যে পুলিশ ও প্রশাসনের যে সব পদস্থ অফিসারকে সরানো হয়েছে, কলকাতা এবং বিধাননগরের দুই পুলিশ কমিশনার সেই তালিকায় সব চেয়ে উল্লেখযোগ্য।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে সরানোর সঙ্গেই নির্বাচন কমিশন সরিয়ে দেয় বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার জ্ঞানবন্ত সিংহকেও। এ নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়।
মুখ খোলেন মমতা স্বয়ং। তার বক্তব্য ছিল, যাদের পদে আনা হল, তারাও এই রাজ্যেরই অফিসার। ভোট মিলে গেলে তিনি তাদের বিষয়টি ‘দেখে নেবেন’।
শুধু পুলিশই নয়, প্রশাসনেও জেলা শাসক-সহ বিভিন্ন স্তরের আইএএস অফিসারদের সরিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এমনকি, রোববার ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের পরে আচমকা সরিয়ে দেওয়া হয় বাঁকুড়ার জেলা শাসককে। সব মিলিয়ে নির্বাচন কমিশনের এই ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবার একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে সেই ক্ষোভ বেরিয়ে আসে হাওয়ালার টাকা ঢোকার অভিযোগ ঘিরে। মমতা সম্প্রতি বিভিন্ন নির্বাচনী সভায় বিজেপির বিরুদ্ধে দেদার টাকা ছড়িয়ে ভোট কেনার অভিযোগ করছেন।
বিজেপির প্রার্থী ভারতী ঘোষের মতো আরও কয়েক জনের গাড়ি থেকেও বেশ কিছু টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। এই প্রসঙ্গেই কলকাতার পুলিশ কমিশনার সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিনই অবশ্য এই কলকাতা পুলিশ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় টামটার গাড়ি আটকেও তল্লাশি চালায়। তল্লাশি চালানো হয় বিজেপির ডায়মন্ড হারবারের প্রার্থী নীলাঞ্জন রায়ের গাড়িতেও।
এই দুই উদাহরণ সামনে রেখে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ যে কত অসার এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, সবাই তা দেখতে পাচ্ছেন। এখন কলকাতা ও বিধাননগর এলাকার নির্বাচন হবে। তাই তিনি এ সব বলে পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছেন।’’
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার
এমএইচ/