ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে যা বললেন মাশরাফি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৩ এএম, ১৪ মে ২০১৯ মঙ্গলবার

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সহজ জয় পেলো বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয়ের পর এক ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনাল নিশ্চিত করলো টাইগাররা।

জয়ের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেন, আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দারুণ বোলিং করেছি। সৌভাগ্যক্রমে ব্রেক থ্রু পেয়ে যাই। ইনিংসে মোস্তাফিজ খুব ভালো বোলিং করেছে। সাকিব-মিরাজরাও খারাপ করেনি।

তিনি বলেন, ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে খেলতে এই ম্যাচটিতে জয় পাওয়া আমাদের খুবই গরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা কঠোর পরিশ্রম করার ফল পেয়েছি। আশা করি শিরোপা জিততে পারব।

এদিন বাংলাদেশের জয়ে মুশফিকুর রহিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আউট হওয়ার আগে ৭৩ বলে ৬৩ রান করেন। মুশফিক ৬৫ বলে তার ক্যারিয়ারের ৩২তম অর্ধ শতক পূর্ণ করেন। মাহমুদুল্লাহ ৩৪ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন। সাব্বির রহমান শূন্য বলে শূন্য রানে অপরাজিত থাকেন।

সৌম্য, সাকিবের আউটের পর চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিথুনের জুটিতে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। পরে মোহাম্মদ মিথুন ৫৩ বলে ৪৩ রান করে আউট হয়ে যান। আর সাব্বির রহমানের সঙ্গে জুটি বেধে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

ওয়েস্ট উইন্ডিজের বিপক্ষে শুভ সূচনা করেছিল টাইগাররা। উদ্বোধনী জুটিতে ৫০ রান সংগ্রহ করে। ৫৪ রানের মাথায় ওপেনিং ব্যাটম্যানস তামিম ইকবাল ২৩ বলে ২১ রান করে আউট হয়ে যায়।

পরে সাকিব ৩৫ বলে ২৯ রান করে আউট হয়ে যান। আর সৌম্য সরকার ভালোয় জবাব দিচ্ছিলেন। ৬৭ বলে ৫৪ রান করে আউট হয়ে যায়। ফলে কিছুটা চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ টিম।

জেসন হোল্ডারের দলকে টাইগাররা আটকে দেয় ২৪৭ রানে। তুলে নিল ৯ উইকেট।

ব্যাটিংয়ে নেমে এ ম্যাচেও ঝড়ো শুরু করে উইন্ডিজ। পরেই তাদের ব্যাটিংয়ের লাগাম টেনে ধরেন বাংলাদেশ দলের বোলাররা। ওপেনার সুনীল আমব্রিসকে প্রথম আউট করেন মাশরাফি মর্তুজা। তিনি করেন ২৩ রান। পরেই মেহেদি মিরাজ ফেরান ড্যারেন ব্রাভোকে।

মুস্তাফিজ তার দ্বিতীয় ওভারে রোস্টন চেজকে ও চতুর্থ ওভারে তুলে নেন জোনাথন কার্টারকে। চাপে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে শাই হোপ-জেসন হোল্ডারের ব্যাটে গুছিয়ে নেন তারা। এরপর আবার তাদের কক্ষচ্যুত করেন মাশরাফি-মুস্তাফিজ।

সেঞ্চুরির পথে ছোটা হোপকে ফেরান মাশরাফি। বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি পান তিনি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও প্রথম ম্যাচে শত রান করেন তিনি। এ ম্যাচে করেন ৮৭ রান।

পরে অধিনায়ক জেসন হোল্ডার ফিফটির পরেই তুলে নেন টাইগার অধিনায়ক। আগের ম্যাচে খরুচে বোলিং করা মুস্তাফিজ এ ম্যাচে স্বরূপে ফেরেন। নার্স এবং রেমন্ড রেইফারকে ফেরান তিনি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর বড় রান করতে পারেনি। বাংলাদেশের হয়ে ফিজ এ ম্যাচে নেন চার উইকেট। মাশরাফি দখল করেন তিন উইকেট। এ ম্যাচেও মিরাজ এবং সাকিবের দখলে একটি করে উইকেট।

এমএইচ/