ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

তিন জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৫

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৫৭ পিএম, ১৪ মে ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০২:৫৫ পিএম, ১৪ মে ২০১৯ মঙ্গলবার

কক্সবাজার, পাবনা ও যশোরে কথিত পৃথক বন্দুকযুদ্ধে ২ রোহিঙ্গা মানবপাচারকারীসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার দিনগত রাতে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ সব ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজার

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, সোমবার দিনগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাপলাপুর মেরিন ড্রাইভ সড়কে অভিযান চালায় পুলিশ সদস্যরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দকযুদ্ধে’ দুই মানবপাচারকারী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন পুলিশের এএসআইসহ চারজন। ঘটনাস্থল কাছ থেকে দুটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।

নিহতেরা হলেন- টেকনাফ শামলাপুর ২৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আব্দুর রহিমের ছেলে আজিম উল্লাহ (২২) ও উখিয়ার জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত রহিম আলীর ছেলে আব্দুস সালাম (৫২)।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন খন্দকার জানান, ছৈয়দুল মোস্তফা প্রকাশ ভুলুকে গ্রেফতারের পর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাকে নিয়ে কাটা পাহাড়ে অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ভুলুর সন্ত্রাসী বাহিনী গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভুলুকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে ৪০০ পিস ইয়াবা, একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, দুই রাউন্ড কার্তুজ ও ৬ টি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত ছৈয়দুল মোস্তফা প্রকাশ ভুলু চিহ্নিত মাদকবিক্রেতা। সে কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকার জহির হাজির ছেলে। তার বিরুদ্ধে থানায় মাদক, অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

যশোর

যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুব জানান, সোমবার দিনগত রাতে দুই দল ডাকাতের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে রাস্তার উপর গাছের গুঁড়ি পড়ে আছে দেখতে পান তারা। পরে ঘটনাস্থলের পাশ থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, তিন রাউন্ড গুলি, তিনটি হাঁসুয়া ও এক জোড়া স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়েছে।

পাবনা

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে হাফিজুর রহমান তিতাস (৩৩) নামে মাদকসহ ১৭টি মামলার আসামি নিহত হয়েছেন। ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জহুরুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার দিনগত রা আড়াইটার দিকে উপজেলার সাঁড়া ঝাউদিয়া এলাকার একটি মাঠে মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক ভাগাভাগি করছে- এমন খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রথমে পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও পরে গুলি চালায় মাদক ব্যবসায়ীরা। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাফিজুর রহমানকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

একে//