দেশ ও জাতির জন্য আমৃত্যু কাজ করে যেতে চাই: মামুন বিন সাত্তার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:২৪ পিএম, ১৪ মে ২০১৯ মঙ্গলবার
দেশ ও জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণে আমৃত্যু কাজ করবেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন বিন সাত্তার। মঙ্গলবার দুপুরে সদ্য ঘোষিত কমিটির এ নেতা বলেন, ছাত্রলীগের ইতিহাস গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যে মণ্ডিত। ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত দেশ ও জনগণের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রত্যেকটি আন্দোলনে অগ্রভাগে ছিল ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে সর্বোচ্ছ আমিও চেষ্টা করব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের ছাত্রলীগের সাবেক এ সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া সংগঠন। অতীতে দেশের যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে আলোকবর্তিকা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ছাত্রলীগ। আগামীতেও ছাত্র সমাজের পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করবে ছাত্রলীগ।
সারাদেশে ছাত্রলীগকে আরো সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে মামুন বিন সত্তার বলেন, আমি দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা অব্যাহত রাখব। আশাকরি আস্থার প্রতিদান দিতে পারব। সকলের সম্মীলিত প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে ছাত্রলীগকে নিয়ে ভ্যানগার্ডের ভূমিকায় থাকার প্রাণপন চেষ্টা করব।
২০০৫ সালে স্কুলে পড়াকালীন সময়েই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন মামুন। ছাত্রলীগের স্কুল কমিটিতে ১নং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন। ২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন মামুন। কবি জসীমউদ্দিন হলে ২য় বর্ষেই উপ-ক্রীড়া সম্পাদক মনোনীত হন। পরে পুন-ভর্তি হওয়ার কারণে হল পরিবর্তন হওয়ায় সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সহ-সভাপতি মনোনীত হন তিনি। পরবর্তীতে আবিদ আল হাসান- প্রিন্স কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হন। দীর্ঘ রাজনৈতিক চলমান প্রক্রিয়ায় চড়াই উতরাই পার হয়ে ২৯তম সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রার্থী হন। তুমুল জনপ্রিয়, কর্মীবান্ধব এ ছাত্রনেতা সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠেন। ক্লিন ইমেজ সাংগঠনিক দক্ষতা, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ২৯তম সম্মেলনে শেখ হাসিনার পছন্দের লিষ্টেও মামুন। সোমবার ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি তাকে ১নং সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান মামুনের দাদা প্রয়াত কর্পোরাল এমএ সামাদ ছিলেন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ৮নং আসামি।
এসি